দু’দিনেই যেন বদলে গেল শীতের চেহারা! উত্তুরে হাওয়ার সেই তেজ নেই, তাপমাত্রার পারদও ক্রমশ চড়ছে। আবহবিদেরা অবশ্য জানিয়েছিলেন, শীতের ধুন্ধুমার ব্যাটিং কয়েক দিন দেখা যাবে না। কিন্তু এত দ্রুত যে শীত এই ঢিমেতেতালা ছন্দে ব্যাটিং শুরু করবে, তা ভাবতে পারেননি অনেকেই।
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, কাশ্মীরে ঢোকা নতুন একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার (ভূমধ্যসাগর এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা ভারী হাওয়া) জেরে উত্তর ভারতের পাহাড়ি এলাকায় ভারী তুষারপাত হচ্ছে। বাতাসে জলভাব বেড়ে যাওয়ায় উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপমাত্রাও বেড়েছে। উত্তুরে হাওয়ার গতি রুদ্ধ হয়েছে। তার জেরেই এ রাজ্যে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ছে।
আবহবিদেরা জানিয়েছেন, উত্তুরে হাওয়া বন্ধ হতেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বেড়েছে। মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাও অবশ্য স্বাভাবিকের চেয়ে দু’ডিগ্রি কম। গত কয়েক দিন ধরে বীরভূমের শ্রীনিকেতনে টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছিল। অর্থাৎ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত পাঁচ ডিগ্রি নীচে ছিল। এ দিন সেখানে এক লাফে তাপমাত্রা বেড়ে ৮.৫ ডিগ্রিতে থিতু হয়েছে। বাঁকুড়া, আসানসোলের মতো পশ্চিম দিকের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
গত ডিসেম্বরের গোড়া থেকেই হা-পিত্যেশ করে বসে ছিল শীতপ্রেমী আমবাঙালি। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে পৌঁছে সেই প্রত্যাশা মিটেছে। কিন্তু ক’দিনের হাড়কাঁপানো শীতের পরেই ফের ঊর্ধ্বমুখী পারদে কপালে ভাঁজ পড়েছে অনেকের।
শীতের বিদায় ঘণ্টা কি তবে বেজেই গেল? হাওয়া অফিস কিন্তু এখনই তা বলতে নারাজ। আবহাওয়া কর্তারা বলছেন, তাপমাত্রার পারদের এই উত্থান সাময়িক। তাপমাত্রা কিছু বাড়লেও তা স্বাভাবিকের মাত্রা ছাড়াবে না। অর্থাৎ মহানগরের পারদ ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস মতো থাকবে। জেলাগুলিতে স্বাভাবিকের মাত্রা আরও কম। চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই ফের পারদের নিম্নমুখী হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস।
আবহবিদদের কেউ কেউ এ-ও বলছেন, কপাল ভাল হলে ফের এক দফা শীতের ঝোড়ো ইনিংস মিলতে পারে। ঝঞ্ঝার জেরে এখন কাশ্মীরে ও হিমাচলপ্রদেশে তুষারপাত চলছে। সেই ঝঞ্ঝা সরলেই উত্তর-পশ্চিম ভারতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে। জোরালো হবে উত্তুরে হাওয়া। সেই কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপটা এ রাজ্যে পড়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy