মোমিনপুরের জলমগ্ন রাস্তায় এক পুলিশকর্মী। ছবি: সুমন বল্লভ।
জ়ওয়াদ ঘূর্ণিঝড় শেষ পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে গাঙ্গেয় বঙ্গকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তবে পরোক্ষে একটা রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে সে। জ়ওয়াদের নিম্নচাপে রূপান্তর প্রক্রিয়ার জেরে ডিসেম্বরে এক দশকের রেকর্ড বৃষ্টি হল কলকাতায়। আজ, মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এই সপ্তাহেই গাঙ্গেয় বঙ্গে রাতে পারদ পতনের ইঙ্গিত আছে।
আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী মহানগরে রবিবার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৬৮ মিলিমিটার। গত এক দশকে ডিসেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি হয়নি। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী গত ১০ বছরে ডিসেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর, ৩৩.৪ মিমি।
শনিবার থেকেই কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের আকাশ ছিল মেঘলা। বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছিল কোথাও কম, কোথাও বেশি। তবে ঘূর্ণিঝড় জ়ওয়াদ স্থলভূমিতে পৌঁছতে পারেনি। সাগরেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে সে। ক্রমশ দুর্বল হতে হতে তার অবশিষ্টাংশ শেষমেশ সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে বঙ্গের কাছে পৌঁছয়। এ দিন সেটি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশের দিকে সরে গিয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনার খবর শুনেই অবশ্য আমবাঙালির প্রশ্ন, বহু প্রত্যাশীত শীত আসবে কবে? আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহেই গাঙ্গেয় বঙ্গে রাতের পারদ নামতে পারে। কারণ, সদ্য আগত একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা, ভারী হাওয়া) প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এবং উত্তর ভারতের পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। তার ফলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বয়ে আসবে। নিম্নচাপ বিদায় নেওয়ায় উত্তুরে বাতাসের পথে বাধাও আপাতত কেটে গিয়েছে। আকাশও ক্রমে মেঘমুক্ত হবে। পারদের পতন হতে পারে এই সব কারণেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy