Advertisement
E-Paper

‘বাবা হাত চেপে রাখে, দাদা গলা টিপেছিল’, মায়ের খুনে প্রত্যক্ষদর্শী মেয়ে! ‘পরকীয়ার শাস্তি’ হাওড়ায়

পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা যে কোম্পানিতে চাকরি করতেন, ওই কোম্পানির ম্যানেজারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করতেন স্বামী ও পুত্র। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি হত।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ২০:৫৬
Howrah Murder Case

হাওড়ায় মহিলা খুনে গ্রেফতার স্বামী ও পুত্র। —নিজস্ব চিত্র।

স্বামী-পুত্র মিলে খুন করলেন মহিলাকে। সামনে দাঁড়িয়ে দেখল একমাত্র নাবালিকা কন্যা। তার বয়ানের ভিত্তিতেই হাওড়ার জগাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হলেন বাবা-ছেলে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন স্ত্রী সুলেখা জসওয়াল, এই সন্দেহে তাঁকে খুন করেন জিতেন্দ্র জসওয়াল। তাঁকে ‘সাহায্য’ করেন পুত্র শেখর জসওয়াল।

সোমবার জগাছা থানার ইছাপুর এলাকায় বাড়িতে মৃত্যু হয় সুলেখার। তদন্তে নেমে মৃতার কন্যার বয়ান নেয় পুলিশ। মেয়েটি জানায়, বাবা মায়ের হাত চেপে ধরেছিলেন। আর দাদা শ্বাসরোধ করে খুন করেন মাকে। স্থানীয়েরা জানান, পেশায় ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র এবং শেখরের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলছিল সুলেখার। সোমবার রাতে সুলেখার কন্যার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাঁদের বাড়িতে ছুটে যান। খবর দেওয়া হয় জগাছা থানায়। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। নাবালিকা কন্যাকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়। খবর দেওয়া হয় সুলেখার বাপের বাড়িতে।

ঘটনাক্রমে মৃতার মেয়ে এবং অন্যদের বয়ান সংগ্রহ করে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের হয়।

মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার মেয়ের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। নাবালিকা জানিয়েছে, মায়ের উপর অত্যাচার করেছিলেন বাবা ও দাদা। ওই দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি সুলেখার দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে জসওয়াল পরিবারের অশান্তির কথা। জানা যাচ্ছে, সুলেখা যে কোম্পানিতে চাকরি করতেন, ওই কোম্পানির ম্যানেজারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করতেন স্বামী ও পুত্র। ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছেন, সুলেখা কোম্পানির ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতেন। তাঁদের একসঙ্গে স্কুটি চেপে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগে ছিল।

তদন্তকারীরা এ-ও জানাচ্ছেন, খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দুই অভিযুক্তই। কিন্তু জিতেন্দ্র ও সুলেখার নাবালিকা কন্যা পুরো ঘটনাটি দেখে ফেলে। সে-ই পুলিশকে জানায় যে, বাবা মায়ের হাত চেপে ধরেছিলেন। আর দাদা মায়ের গলা টিপে ধরেছিলেন। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজত দেন বিচারক।

Murder Case Howrah Crime police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy