—প্রতীকী ছবি।
গণধর্ষণের পর এক মহিলার আগুনে পুড়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি চার অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) বিদিশা কালিতা।
ওই মহিলার পরিবারের দাবি, গত রবিবার ভোরে ধর্ষিতা হওয়ার পর অপমানে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। আবার অভিযুক্তদের এক জনের মায়ের অভিযোগ, ধর্ষিতা হওয়ার খবর জানতে পেরে মহিলার স্বামী তাঁকে মারধর করে। তাতেই মানসিক ভাবে আরও ধ্বস্ত হয়ে মহিলা নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। যদিও মৃতার স্বামী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মৃতার স্বামীর দাবি, রবিবার ভোরে গুডফ্রাইডে উপলক্ষে আয়োজিত এক শোভাযাত্রায় স্ত্রী ও পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে তিনি অংশ নেন। কিছু সময় পরে তিনি ও মেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। স্ত্রী থেকে গিয়েছিলেন। পরে স্ত্রী ফিরে এসে জানান, পিন্টু বিশ্বাস নামে এক পরিচিত এক আত্মীয়ের অসুস্থতার মিথ্যে খবর দিয়ে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর জোর করে নিজের বাড়িতে ঢুকিয়ে আরও চার জনের সঙ্গে তাঁকে ধর্ষণ করেছে। এর পরেই তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পিন্টু বিশ্বাসের বাড়ি যান। সেখানে আরও কয়েক জন উপস্থিত ছিল। তারা সকলে তাঁদের গালিগালাজ করে। পুলিশকে জানালে খুন করে দেওয়ার হুমকিও দেয়।
তাঁর দাবি, এর পর তাঁরা দু’জনে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু সেখানে অভিযোগ লিখে নেওয়ার মতো কেউ ছিলেন না। তাই বাড়ি ফিরে আসেন। মৃতার স্বামীর আরও দাবি, এর কিছু ক্ষণ পরে তিনি স্ত্রীর চিৎকার শুনে ঘরের বাইরে এসে দেখেন, স্ত্রীর গায়ে আগুন জ্বলছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এর পর তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy