নিজস্ব চিত্র
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে প্রতিবেশীর দেহ নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে নদিয়ায় ফিরছিলেন দীপালি সরকার। কিন্তু বর্ধমানের কাছে এসে ওই চালক জোর করে দেহ নামিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, দীপালির কাছ থেকে টাকাপয়সা এবং সমস্ত কাগজপত্র ছিনতাই করে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পর রাস্তার ধারেই গাছতলায় অসহায় অবস্থায় প্রায় ৪ ঘণ্টা বসে থাকেন দীপালি। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে দীপালিকে অন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নদিয়ার বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
দীপালি জানিয়েছেন, গোরক্ষপুর থেকে যাঁর দেহ নিয়ে তিনি ফিরছিলেন সেই প্রকাশ সরকার (৩৫) সম্পর্কে তাঁর পাড়াতুতো দাদা। প্রকাশের বাড়ি নদিয়ার ভীমপুরে হলেও তিনি কর্মসূত্রে থাকতেন গোরক্ষপুরে। সেখানেই এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে দীপলি তাঁর দেহ একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বিহারে থাকি। আমার কাছে ফোন আসে দাদা মারা গিয়েছে। আমি তড়িঘড়ি গোরক্ষপুরে পৌঁছই। ২৭ হাজার টাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করি। অ্যাম্বুল্যান্সে করে দাদার দেহ নিয়ে যাচ্ছিলাম নদিয়ার মহেশপুরে গ্রামের বাড়িতে। বর্ধমানে এসে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক আমাকে মারধর করে কাগজপত্র-টাকাপয়সা ছিনিয়ে নিয়ে মৃতদেহ অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামিয়ে পালিয়ে যায়।’’
অসহায় অবস্থায় তার পর থেকে রাস্তাতেই দাদার দেহ নিয়ে বসে ছিলেন দীপালি। শনিবার সকাল ১০টা থেকে এ ভাবে রাস্তার পাশে বসে থাকলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। স্থানীয় এক যুবক জিয়াউর রহমান বলেন, ‘‘ওই ভদ্রমহিলা মৃতদেহ নিয়ে বসে ছিলেন সকাল থেকে। জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, তাঁকে মারধর করে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে মৃতদেহ নামিয়ে পালিয়ে গিয়েছে চালক। পরে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশের তরফে একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy