Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Partha Chatterjee

Partha Chatterjee: পার্থকে জুতো-ছোড়া মহিলা কে? চাকরিপ্রার্থী? কেন ছুড়লেন জুতো? কী বললেন তিনি?

প্রাক্তন মন্ত্রীকে জুতো ছুড়ে এতটুকুও অনুতপ্ত নন ওই মহিলা। কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘হুইল চেয়ারে করে ঘোরাচ্ছেন। মালা দিয়ে বরণ করব?’’

পার্থের দিকে জুতো ছুড়ে খালি পায়ে বাড়ি যান শুভ্রা।

পার্থের দিকে জুতো ছুড়ে খালি পায়ে বাড়ি যান শুভ্রা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২২ ১৪:২১
Share: Save:

পরনে সাধারণ সবুজ শাড়ি, গোলাপি ব্লাউজ। মুখে মাস্ক। কাঁধে ব্যাগ। মঙ্গলবার দুপুরে খালি পায়ে জোকা ইএসআই হাসপাতাল চত্বর থেকে হনহনিয়ে হেঁটে বেরিয়ে যাওয়া ওই মহিলার পিছনে তখন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা দৌড়চ্ছেন। সাধারণ এক বধূ এমন কাণ্ড করবেন কে ভেবেছিল! প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাক করে তাঁর দিকে জুতো ছুড়েছেন তিনি।

জোকার ইএসআই হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে তখন বার করা হচ্ছিল পার্থকে। হঠাৎই তার গাড়ির দিকে ছুটে এল এক পাটি জুতো। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আরও একটা! পার্থের দিক থেকে সবার নজর চকিতে ঘুরল পিছনের দিকে। কে এই মহিলা? কোনও চাকরিপ্রার্থী কি? কী পরিচয়, কোন রাগে হঠাৎ এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থের দিকে জুতো ছুড়লেন?

মহিলার নাম শুভ্রা ঘোড়ুই। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলা এলাকার বাসিন্দা। মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। প্রাক্তন মন্ত্রীকে জুতো ছোড়া নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘মালা দিয়ে বরণ করলে আপনাদের ভাল লাগত?’’ তিনি জানান, আমতলা থেকে জোকা হাসপাতালে এসেছিলেন এক আত্মীয়ের চিকিৎসার জন্য। ওই আত্মীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানালেন, তাঁর নিজেরও শরীর খারাপ। তার মধ্যে কেন মেজাজ হারিয়ে এমন কাজ করে বসলেন? শুভ্রা নিজে চাকরিপ্রার্থী কি না জানাননি। কিন্তু জানালেন, রাজ্যে এত বেকারের অবস্থা এবং এসএসসি দুর্নীতির ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ।

পার্থকে জুতো ছুড়ে শুভ্রা বলতে থাকেন, ‘‘ওঁকে জুতো মারতে এসেছিলাম। জুতো মেরে এখন খালি পায়ে বাড়ি যাব।’’ কেন ছুড়লেন জুতো জোড়া? ঝাঁঝিয়ে উঠে শুভ্রার পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘কী জন্য জুতো মেরেছি আপনারা জানেন না? কত গরিব মানুষের টাকা... কোটি কোটি টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট কিনছে!’’ এখানেই থামেননি শুভ্রা। মাস্ক ঠিক করে আঙুল তুলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এসি গাড়ি চড়িয়ে হুইল চেয়ারে করে ঘোরাচ্ছেন (পার্থকে)! গলায় দড়ি দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাবেন। আমি আরও খুশি হতাম, ওই জুতোটা যদি ওঁর টাকে লাগত।’’

তাঁকে ঘিরে সংবাদমাধ্যমের ভিড় বাড়তেই শুভ্রা জানান, তাঁর বাড়ির লোক অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওষুধ কিনতে যেতে হবে। বলেন, ‘‘আমাকে দয়া করে ছেড়ে দিন। আমি হাই পাওয়ারের ওষুধ খাচ্ছি। সব সময় মাথা ঘুরছে।’’এর পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে খালি পায়েই বাড়ির দিকে হনহনিয়ে হাঁটা দেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE