দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক সি মুরুগান। ফলতায় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক মহিলারা। তাঁদের দাবি, আগে আবাস যোজনার ঘর, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার পর এসআইআর হবে। তার আগে এসআইআর করতে দেবেন না বলেও দাবি করেন কেউ কেউ।
এসআইআর-এর কাজ পর্যবেক্ষণ করতে মুরুগানের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার ফলতায় গিয়েছিল। বুথ স্তরের আধিকারিকেরা (বিএলও) ঠিকমতো কাজ করছেন কি না, কোন বুথে কত ভোটার মৃত, তা খতিয়ে দেখা হয়। বয়স্ক ভোটারদের বা়ড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁরা জীবিত না মৃত, খতিয়ে দেখেন মুরুগান। এই সময়েই তৃণমূলের এক দল সমর্থন কমিশনের প্রতিনিধিদলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। তাঁরা এসআইআর এবং বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। আবাস যোজনার ঘর চেয়ে, ১০০ দিনের কাজের টাকা চেয়ে স্লোগান ওঠে।
আরও পড়ুন:
এই ধরনের বিক্ষোভে বিরক্ত মুরুগান। তিনি বিকেলে এ বিষয়ে কমিশনকে রিপোর্ট জমা দেবেন। তাঁর বক্তব্য, ইচ্ছাকৃত ভাবে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। কারণ, উন্নয়নের সঙ্গে, সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে এসআইআর-এর কোনও সম্পর্ক নেই। তবে বাধা এলেও তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন মুরুগান। এ বিষয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজকুমার আগরওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।
গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তা প্রায় শেষের পথে। এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করে কমিশনের পোর্টালে আপলোড করছেন বিএলও-রা। ১৬ ডিসেম্বর তার ভিত্তিতে কমিশন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।