Advertisement
E-Paper

ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কাঠুরিয়া

বিকট শব্দ ও ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরা দেখেন, সুখরঞ্জনবাবু গাছ থেকে ঝুলছেন। ততক্ষণে অবশ্য ভয়ে তাঁর সঙ্গীরা পালিয়ে গিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৮
নারকেল গাছ থেকে নামানো হচ্ছে কাঠুরিয়াকে। — নিজস্ব চিত্র।

নারকেল গাছ থেকে নামানো হচ্ছে কাঠুরিয়াকে। — নিজস্ব চিত্র।

প্রজাতন্ত্র দিবস। চারপাশে যখন ছুটির মেজাজে রয়েছেন সকলে, তখন সংসারের প্রয়োজনে কাজের খোঁজে বেরিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লা ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা সুখরঞ্জন বিশ্বাস। কাজে বেরিয়েই প্রাণ যেতে বসেছিল তাঁর। তবে কিছু মানুষের সহায়তায় তিনি বেঁচে যান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনআনা-দিনখাওয়া পরিবার সুখরঞ্জনবাবুর। কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে শুক্রবার কাজের খোঁজে বেরিয়ে তিনি পৌঁছন বড়শুলের পঞ্চায়েত পাড়ায়। টাকার জন্য ওই পাড়ার বাসিন্দা বাসুদেব দে-র বাড়ির নারকেল গাছের ডাল কাটতে ওঠেন তিনি। ওই নারকেল গাছের পাশ দিয়েই চলে গিয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাটা ডাল কোনও ভাবে বিদ্যুতের তারে এসে পড়ে। তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

বিকট শব্দ ও ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরা দেখেন, সুখরঞ্জনবাবু গাছ থেকে ঝুলছেন। ততক্ষণে অবশ্য ভয়ে তাঁর সঙ্গীরা পালিয়ে গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এমন একটা ঘটনা দেখে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতর ও দমকলে খবর দেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সংশ্লিষ্ট দফতর। ২০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যায় দমকল। বাসিন্দারা জানান, তাঁরা ভেবেছিলেন ওই ব্যক্তি বেঁচে নেই। হঠাৎ নড়াচড়া করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ মাঝি গাছে উঠে যান। দড়ি বেঁধে তাঁকে নামিয়ে আনেন। বিকাশবাবু বলেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম ওই ব্যক্তি আর বেঁচে নেই। তারপর নড়তে দেখে আমি গাছে উঠে যাই। তাঁকে নামিয়ে আনার পরে পুলিশ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে পেরে ভাল লাগছে।’’

Death Electrocution মেমারি Memari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy