Advertisement
০৫ অক্টোবর ২০২৪
COVID-19

Covid-19: আমার স্ত্রীকে প্লিজ একটা টসিলিজুমাব দেবেন! করুণ চিঠি মেডিক্যালের ডেপুটি সুপারকে

গুরুতর করোনায় সংক্রমিতদের চিকিৎসায় টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়। করোনা আক্রান্ত স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে চিঠি দিয়ে টসিলিজুমাবের জন্য মিনতি।

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২১ ১৯:০৩
Share: Save:

চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে লেখেননি। কিন্তু লোকমুখে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশনের গুণাগুণ শুনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে ফেললেন করোনায় সংক্রমিত রোগীর স্বামী। গুরুতর করোনা রোগীদের চিকিৎসায় টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়। তা জানতে পেরে হুগলির হরিপালের মধুসূদন মল্লিক চিঠি লিখলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে। মধুসূদনের স্ত্রী কাকলি মল্লিক করোনা আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত কয়েক দিনে কাকলির শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি না হওয়াতেই চিন্তিত স্বামীর হাসপাতালে এ হেন ‘মিনতি’। অন্য দিকে চিকিৎসকদের মতে, ওষুধ চেয়ে বা সুচিকিৎসার জন্য অনেক রোগীর পরিবারই চিঠি লেখেন। আবার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুরও চলে অনেক ক্ষেত্রে। এ রকম পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা প্রদর্শন এবং এই ধরনের মর্মস্পর্শী চিঠির বয়ান বিরল।

৩ অগস্ট থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি কাকলি। এসএসবি বিল্ডিংয়ের সিসিএউ-২-তে চিকিৎসা চলছে তাঁর। পেশায় অটোচালক মধুসূদন। স্ত্রী করোনা সংক্রমিত হওয়া ইস্তক দুশ্চিন্তার শেষ নেই তাঁর। করোনা রোগীর সঙ্গে দেখা করার উপায় নেই। কাকলির চিকিৎসা কেমন চলছে, তা সরাসরি স্ত্রীর কাছ থেকে জানতেও পারছেন না মধুসূদন।

ফলে চিন্তিত স্বামী পরিচিতদের সঙ্গে স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করছেন। হরিপালেই এক ওষুধের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জীবনদায়ী টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশনের বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। কাকলিকে এই ইঞ্জেকশন দিলে ফল পাওয়া যেতে পারে বলেই বিশ্বাস মধুসূদনের। কিন্তু এই ইঞ্জেকশনের দাম তাঁর সাধ্যের বাইরে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে লেখা চিঠিতে নিজেকে ‘গরিব, ছাপোষা মানুষ’ বলে জানিয়েছেন মধুসূদন। জানিয়েছেন, তাঁর পক্ষে এত ‘টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।’

গত দু’দিন ধরে কাকলির শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি বলে জানান মধুসূদন। কাকলির চিকিৎসায় টসিলিজুমাব ব্যবহার করা হবে কি না, সে বিষয়ে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। চিন্তিত মধুসূদন বললেন, ‘‘ওর শরীরটা তো খারাপ হয়েই যাচ্ছে। ভেন্টিলেটরে সম্পূর্ণ অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছে। এখন পার্থনা করুন, যাতে ও সুস্থ হয়ে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE