E-Paper

‘সামান্য ব্যবধান’ মুছতে এ বার বুথে যুব বিজেপি

সংগঠন সূত্রে বক্তব্য, গত বিধানসভার ফলাফলের হিসেবে এই ৩০ হাজার বুথে বিজেপি তৃণমূলের থেকে একশোর কম ভোটে পিছিয়ে।

বিপ্রর্ষি চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৫
সাগরে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল সেন।

সাগরে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল সেন। নিজস্ব চিত্র।

লক্ষ্য ‘এক ঢিলে দুই পাখি’। সেই মন্ত্র নিয়েই এ বার সাগর থেকে পাহাড় বুথে ঘুরবে বিজেপির যুব মোর্চা। এই ‘বুথ সম্পর্ক অভিযান’-এ লক্ষ্য যেমন ‘স্লগ ওভারে’ ঝড়ের বেগে সদস্য সংগ্রহ, তেমনই বুথে জনসংযোগ করাও।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে এসে কার্যত বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে গিয়েছেন। আগামী বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এখন থেকে কর্মীদের ঝাঁপাতে বলেছে দল। তারই প্রথম ধাপে যুব মোর্চা রাজ্য জুড়ে বুথ সম্পর্ক অভিযানে নেমেছে। দক্ষিণবঙ্গে গঙ্গাসাগর থেকে শুক্রবার এই অভিযান শুরু হয়েছে। শেষ হবে কোচবিহারের ফুলবাড়ি সীমান্তে। দুই ধাপে প্রায় ৩০ হাজার বুথ স্পর্শ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

কোন হিসেবে রাজ্যে প্রায় ৮০ হাজারের মধ্যে ৩০ হাজার বুথ বাছা হল? সংগঠন সূত্রে বক্তব্য, গত বিধানসভার ফলাফলের হিসেবে এই ৩০ হাজার বুথে বিজেপি তৃণমূলের থেকে একশোর কম ভোটে পিছিয়ে। এই বুথগুলিকে বিজেপি ‘সম্ভাবনাময়’ বলে মনে করছে। তাই জনসংযোগের মাধ্যমে ‘সামান্য’ ব্যবধান মুছতে মরিয়া তারা। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওই বুথগুলি থেকে সর্বোচ্চ সদস্য সংগ্রহ করতে চাইছে যুব মোর্চা।

মোর্চা সূত্রের খবর, প্রথম পর্বের কর্মসূচি শেষ হতে পারে ২৮ ডিসেম্বর। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি শুরু হতে পারে দ্বিতীয় পর্বের ‘বুথ সম্পর্ক অভিযান’। কর্মসূচি উপলক্ষে প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় ১৫টি করে যুব দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে থাকার কথা অন্তত ১০ জন যুব মোর্চা কর্মীর। প্রতিদিন তাঁরা অন্তত দু’টি করে বুথ স্পর্শ করবেন। এই ভাবে প্রতিদিন রাজ্য জুড়ে হাজার বুথ স্পর্শ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁর বক্তব্য, “আমরা সদস্য সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে হাজারের বেশি শিবির করেছি। কিন্তু সেগুলির বেশির ভাগ শহরের বড় রেল স্টেশন, বাস স্টপ, সিনেমা হল, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের বিভিন্ন দফতরের বাইরে। এ বার বুথ স্তরে গ্রামে পৌঁছতে চাই। যে মানুষগুলি সদস্য হতে চান কিন্তু নিয়ম পূরণ করে সদস্য হতে পারছেন না, তাঁদের সদস্য করার লক্ষ্যেই অভিযান।” ইন্দ্রনীলের আরও সংযোজন, “আমরা এর আগে গ্রাম সম্পর্ক অভিযান করেছিলাম। এ বার বুথ সম্পর্ক অভিযান করে বুথে জনসমর্থন বাড়াতে চাইছি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Assembly Election BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy