গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
শ্যামনগরে মোবাইল কানে দুই তরুণীর জীবন বাঁচিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন জীবন সরকার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখনও তিনি বিপন্মুক্ত নন। শুক্রবারও পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর আত্মীয়স্বজনের এখন চিন্তা— চিকিৎসার এত টাকা আসবে কোথা থেকে!
নিজের পরিবার বলে কিছু নেই। স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে অনেক দিন। নৈহাটির ৬ নম্বর বিজয়নগরের বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের জীবন একটি ফাস্ট ফুডের দোকান চালান। প্রায় দিন আনা দিন খাওয়া অবস্থা তাঁর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই তরুণীকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় জখম হন জীবন। যাঁদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন, ঘটনার এক দিন পরেও সেই দুই তরুণীর খোঁজ মেলেনি। তবে জীবনবাবু যা করেছেন, তার জন্য গর্বিত তাঁর আত্মীয় এবং এলাকার বাসিন্দারা। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার খরচ আপাতত সামলাচ্ছেন তাঁর দিদির পরিবার এবং অন্যান্য আত্মীয়েরা। কিন্তু তাঁদেরও ক্ষমতা সীমিত। জীবনের ভাগ্নে সুজয় ঘোষ জানান, বিকেল পাঁচটায় দুর্ঘটনা ঘটলেও তাঁরা খবর পান রাত সাড়ে সাতটারও পরে। যে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার চালকই জীবনের মোবাইল ঘেঁটে একের পর নম্বরে ফোন করতে থাকেন। তিনিই শেষ পর্যন্ত সুজয়কে ফোনে পেয়ে যান।
সুজয় জানান, রাতে তাঁরা জীবনকে এসএসকেএমে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা হয়নি। পরে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হস্তক্ষেপে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু সেখানে আইসিইউ খালি ছিল না। তাই নিয়ে যাওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সুজয় বলেন, ‘‘হাসপাতালের খরচ আপাতত আমরাই চালাচ্ছি। কিন্তু কতটা করতে পারব জানি না। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা হলে উপকার হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy