Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অনাস্থা, বিধানসভা অভিযানে দলকে চাঙ্গা করবে কংগ্রেস

নভেম্বরে বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পাশাপাশি বিধানসভা ভবন অভিযান করবে কংগ্রেস। বিধানসভার আসন্ন অধিবেশন বসবে ৭ নভেম্বর। আগে ঠিক ছিল, ওই অধিবেশনে সারদা-কাণ্ডকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে। কিন্তু শনিবার দলের জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৪৩
Share: Save:

নভেম্বরে বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পাশাপাশি বিধানসভা ভবন অভিযান করবে কংগ্রেস।

বিধানসভার আসন্ন অধিবেশন বসবে ৭ নভেম্বর। আগে ঠিক ছিল, ওই অধিবেশনে সারদা-কাণ্ডকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে। কিন্তু শনিবার দলের জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ এবং যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলনে পুলিশি হামলাকেও সারদার সঙ্গে জুড়ে নেওয়া হবে।

বিধানসভায় অনাস্থা এনে সরকারকে বিপাকে ফেলার মতো বিধায়ক-সংখ্যা কংগ্রেসের নেই। তাই তাদের অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত জেনে তৃণমূলের মুখপাত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায় কটাক্ষ করেছেন, “তাই সকাল থেকে ঘোড়াগুলো খুব হাসছে!” সরকার ফেলা যাবে না জেনেও কংগ্রেসের অনাস্থা আনার সিদ্ধান্তের দু’টি উদ্দেশ্য। এক, সারদা থেকে বর্ধমান কাণ্ড রাজ্যের ভূমিকা মানুষের সামনে তুলে ধরে পুরভোটের আগে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করা। দুই, পাঁচ দলত্যাগী বিধায়ককে প্যাঁচে ফেলে তাঁদের বিধায়ক পদ বাতিল করানো।

দলীয় সূত্রের খবর, অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার জন্য গৃহীত হলেই দলের সব বিধায়কের উপরে ‘হুইপ’ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতৃত্ব। তৃণমূলে যোগ দিলেও খাতায় কলমে ওই পাঁচ বিধায়ক এখন কংগ্রেসেরই। পরিষদীয় আইন অনুযায়ী, হুইপ অমান্য করলে দলত্যাগ-বিরোধী আইনে ওই বিধায়কেরা পদ হারাবেন। এ বিষয়ে দলের প্রবীণ বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার মন্তব্য, “আমাদের যে সব বিধায়ক ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি করে ঘাপটি মেরে আছেন, অনাস্থা এনে তাঁদের মুখোশ খুলে দেওয়া যাবে।”

দলের পুনরুজ্জীবনের প্রচেষ্টার মধ্যেই অবশ্য রয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা। এ দিন বৈঠকে যাননি কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান, দীপা দাশমুন্সি, শঙ্কর সিংহ এবং মালদহের দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী এবং মৌসম বেনজির নূর। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে অধীর বলেন, “যাঁদের ডাকা হয়নি, তাঁরা কেন আসবেন? আর যাঁরা আমন্ত্রণ পেয়েও আসেননি, তাঁরা কারণ জানিয়েছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

congress saradha scam khagragarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE