ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই ফের আদালতে ফিরে গেল বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো হয়, আগামী ৩০ নভেম্বর ধর্মতলার ওই জায়গায় সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা করার অনুমতি কলকাতা পুলিশ তাদের দেয়নি। ওই সভা যাতে করা যায়, তার জন্যই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। বিচারপতি তাদের সঠিক পদ্ধতিতে মামলার আবেদন করার নির্দেশ দেন। আজ, মঙ্গলবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
ওই বিষয়ে বিজেপি আগেও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। বিচারপতির নির্দেশে পুলিশ এবং বিজেপির বৈঠকও হয়েছে। সেখানে জট না কাটাতেই এ দিন ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। পুলিশের বক্তব্য, ওই সভার জন্য কলকাতা পুরসভার কমিশনার এবং দমকলের অধিকর্তার ছাড়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তারা তা জমা দেয়নি। তাই তাদের আবেদন নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে না। এ দিন অবশ্য বিজেপি ওই সভার জন্য পুরসভা এবং দমকলের কাছে নিয়মমাফিক আবেদন করেছে। কিন্তু, তাদের প্রশ্ন, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির জন্য তৃণমূলকে কেন পুরসভার ছাড়পত্র চাইতে হয় না? পাশাপাশি, এ দিন ডোরিনা ক্রসিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য যথাযথ ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।
বিজেপি এ দিন পুরসভা বা দমকল কারও কাছ থেকেই জবাব পায়নি। পুরসভার জবাব যে তারা পাবেও না, তা মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। অতীনবাবু বলেন, “ধর্মতলার ওই জায়গা আমাদের কাছে পুণ্যভূমি। ওই চত্বরে পুলিশের গুলিতে আমাদের ১৩ জন শহিদ হয়েছিলেন। তাই প্রতি বছর আমরা ওখানে শহিদ দিবস পালন করি। বিজেপি-র ওখানে কী আছে?” মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য সভাস্থল বিতর্ক নিয়ে এ দিন মুখ খোলেননি।
মামলায় জয়ের ব্যাপারে বিজেপি আশাবাদী। তাদের আরও বক্তব্য, আদালত যদি সব দলেরই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেয়, তা হলেও তাদের নৈতিক জয়ই হবে। কারণ সে ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে তৃণমূলের বিশেষ সুবিধাভোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy