শুনানিতে যাঁরা ডাক পাচ্ছেন, তাঁদের ভোটার হিসাবে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। জমা দিতে হবে উপযুক্ত নথিপত্র। তা ভুয়ো কি না, কিসের ভিত্তিতে ওই নথি ভোটারকে দেওয়া হল, যাচাই করে দেখতে পারে নির্বাচন কমিশন। কী ভাবে যাচাই করা হবে, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা দিয়ে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, শুনানিতে পাওয়া নথিপত্র বিএলও-দের অ্যাপেই আপলোড করতে হবে। তার পর সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা যাচাই করতে হবে।
কমিশন জানিয়েছে, শুনানির জন্য যাঁদের কাছে নোটিস যাচ্ছে, তাঁদের নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে হবে। জমা দিতে হবে যোগ্যতার প্রামাণ্য নথি। অর্থাৎ, তাঁর ভোটাধিকার যে বৈধ, তা ভোটারকেই প্রমাণ করতে হবে। ম্যাপিংয়ে অথবা আগের এসআইআর-এ নাম রয়েছে, সেই প্রমাণও দিতে হতে পারে। শুনানিতে পাওয়া এই সমস্ত নথিপত্র এর পর বিএলও অ্যাপে আপলোড করতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে। ভোটার কাগজ জমা দেওয়ার পর তা ফেলে রাখা চলবে না। সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্দিষ্ট অ্যাপ বা কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
আরও পড়ুন:
এর পর ওই সমস্ত নথি যাচাই করবেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)। যে দফতর থেকে নথি দেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন ডিইও-রা। সংশ্লিষ্ট দফতরের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে নথি যাচাই করা হবে। একই রাজ্যের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন জেলার নথি হলে বর্তমান জেলার ডিইও অ্যাপের মাধ্যমে অন্য জেলার ডিইও-কে নথি পাঠাবেন যাচাইয়ের জন্য। অন্য রাজ্যের নথি হলে সেই রাজ্যের সিইও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সিইও-র কাছে তা যাচাইয়ের জন্য পাঠাবেন। সমস্ত ডিইও, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক (ইআরও) এবং পর্যবেক্ষকদের এই নির্দেশ মানতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এনুমারেশন পর্ব শেষে ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে খস়ড়া ভোটার তালিকা। এর পর শুনানির পালা। তথ্য যাচাইয়ের জন্য কাদের শুনানিতে ডাকা হবে, ইতিমধ্যে সেই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। শুরু হয়েছে নোটিস পাঠানোও। ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুনানি শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গে। প্রথম পর্যায়ে ৩০ লক্ষের বেশি ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারকে শুনানিতে ডাকবে কমিশন। এঁরা ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে নিজেদের কোনও যোগ দেখাতে পারেননি। এ ছাড়াও আরও ১.৩৬ কোটি ভোটারকে ‘সন্দেহজনক’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। তাঁদেরও অনেককে শুনানিতে হাজির হতে হবে।