রীতিমতো হুমকি দিয়ে এবং সময়সীমা বেঁধে একসঙ্গে অনেক ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। আত্মহত্যার চেষ্টা করার সেই মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন সাংসদ কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয়রঞ্জন পাল ৮০০ টাকার বন্ডে ওই মামলায় জামিন দেন তাঁকে। ২২ ফেব্রুয়ারি আবার মামলাটির শুনানি হবে।
আত্মহত্যার চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেও আপাতত কুণালের মুক্তির কোনও সম্ভাবনা নেই। মূল যে-মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছেন, সেই সারদা কেলেঙ্কারিতে তাঁকে জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ বহাল থাকায় তাঁকে গারদেই থাকতে হচ্ছে। পুলিশ জানায়, গত ১৪ নভেম্বর প্রেসিডেন্সি জেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন কুণাল। এবং তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের সেলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। জেলের মধ্যে একসঙ্গে অত ঘুমের ওষুধ কী ভাবে তাঁর হাতে পৌঁছল, সেই রহস্যের সমাধান এখনও হয়নি। যদিও চিকিৎসকদের দাবি, তিনি জমিয়ে রাখা ২২টি ঘুমের ওষুধ এক বারে খেয়ে নিয়েছেন বলে কুণাল তাঁদের জানান। আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগে কুণালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারায় মামলা দায়ের করে হেস্টিংস থানার পুলিশ। প্রেসিডেন্সি জেল ওই থানারই অধীন। পরে জেল-কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিয়ে যান এসএসকেএম হাসপাতালে।
কী কারণে এ দিন জামিন পেলেন সারদা মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ? কুণালের আইনজীবী অমিত ভট্টাচার্য জানান, আত্মহত্যার চেষ্টার অপরাধ জামিনযোগ্য অপরাধ। সেই জন্য সরকারি আইনজীবী তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেননি। কেউ বিরোধিতা না-করায় আদালত জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে। তবে এই মামলায় জামিন পেলেও জেল থেকে এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না কুণাল। সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে সারদা কাণ্ডে অন্য যে-মামলা দায়ের করেছে, তাতে এখনও তাঁকে জামিন দেয়নি আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy