জেলায় জেলায় ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার যে ব্যবস্থা রাজ্য সরকার চালু করেছে, তাতে শৃঙ্খলা আনার সুপারিশ করল বিধানসভার স্থায়ী কমিটি। সরকারি টাকা ক্লাবগুলি কী ভাবে খরচ করবে, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির কথা সরকারকে বলল তারা। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ওই সুপারিশ মানার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানান, ক্রীড়া পর্ষদের মাধ্যমে কিছু নির্দেশিকা তৈরি হচ্ছে। নির্দেশিকা সমেতই অনুদান দেওয়ার প্রক্রিয়া জারি থাকবে।
তথ্য ও সংস্কৃতি, ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ রিপোর্ট সোমবারই জমা পড়েছে বিধানসভায়। সুপারিশ হয়েছে: ‘ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ার সময় টাকা খরচের বিষয়ে বিভাগ নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দিতে পারে এবং সেই নির্দেশিকা পূরণ না হলে পরবর্তী অনুদান বন্ধ থাকতে পারে’। বিধানসভার ৯ সদস্যের ওই কমিটির চেয়ারম্যান সিপিএম বিধায়ক এস এম সাদি। কমিটিতে আছেন তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অনুপ ঘোষাল, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায় ও স্বপন বেলথরিয়া। কংগ্রেসের আসিফ মেহবুব ও ঈশা খান চৌধুরী এবং সিপিএমের বিরাম মাণ্ডি। তাঁদের সকলের সম্মতির ভিত্তিতেই কমিটি ওই সুপারিশ করেছে বলে চেয়ারম্যানের দাবি। সাদির কথায়, “সরকার যখন ক্লাবকে টাকা দিচ্ছে, তখন তা কী ভাবে খরচ হবে, তার রূপরেখা ঠিক করার এক্তিয়ারও সরকারের আছে। তা করতে পারলে সরকারি অর্থের অপচয় ঠেকানো যাবে।” সরকারি অনুদান দিয়ে শাসক দল এলাকায় এলাকায় ক্লাবগুলির আনুগত্য কিনতে চেয়েছে বলে গোড়া থেকেই বিতর্ক রয়েছে। বহু ক্লাব ক্রীড়া সংক্রান্ত পরিকাঠামোয় ওই টাকা আদৌ খরচ করে না বলেও অভিযোগ আছে।
ক্রীড়ামন্ত্রী অবশ্য বলেন, এমন কোনও অভিযোগ পাননি। ক্রীড়ামন্ত্রীর বক্তব্য, “আর্থিক সাহায্য এ বছরও দেব। তবে ক্রীড়া পর্ষদ কিছু নির্দেশিকা তৈরি করছে।” পদাধিকারে ক্রীড়ামন্ত্রী ওই পর্ষদের চেয়ারম্যান। বিধানসভায় একই প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেও স্থায়ী কমিটির কাছে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরে মেলা ও উৎসবের জন্য ৫ কোটি ৪৬ লক্ষ ৪ হাজার ৬১ টাকা খরচ হয়েছে। তবে ২০১৩-১৪ সালে সরকারি বিজ্ঞাপনে কত টাকা খরচ হয়েছে সে তথ্য দফতরের কাছে বারবার চেয়েও না পাওয়ায় বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন কমিটির ক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy