Advertisement
E-Paper

ঘরছাড়ারা ফিরতেই ফের হামলা জামুড়িয়ার গ্রামে

নির্বাচনের পরেই তৃণমূল কর্মীদের ‘চোখ রাঙানি’র জেরে আসানসোলের জামুড়িয়া এলাকার বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে ঘর ছাড়তে হয়েছিল বলে অভিযোগ। দিল্লি থেকে ফিরে সোমবার দুপুরেই ঘর-ছুট সেই কর্মীদের জামুড়িয়ার গ্রামে ফিরিয়ে দিয়ে এসেছিলেন আসানসোলের সদ্য নির্বাচিত সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তবে বিজেপি-র অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নামতেই জামুড়িয়ার সত্তর এবং বালানপুর গ্রামে ফের ‘অনুশাসন’ শুরু করে শাসকদল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৪ ০৩:০১
আক্রান্ত দলীয় কর্মী প্রশান্ত বাউড়ির ছবি তুলছেন বাবুল সুপ্রিয়। মঙ্গলবার জামুড়িয়ায়। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

আক্রান্ত দলীয় কর্মী প্রশান্ত বাউড়ির ছবি তুলছেন বাবুল সুপ্রিয়। মঙ্গলবার জামুড়িয়ায়। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

নির্বাচনের পরেই তৃণমূল কর্মীদের ‘চোখ রাঙানি’র জেরে আসানসোলের জামুড়িয়া এলাকার বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে ঘর ছাড়তে হয়েছিল বলে অভিযোগ। দিল্লি থেকে ফিরে সোমবার দুপুরেই ঘর-ছুট সেই কর্মীদের জামুড়িয়ার গ্রামে ফিরিয়ে দিয়ে এসেছিলেন আসানসোলের সদ্য নির্বাচিত সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।

তবে বিজেপি-র অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নামতেই জামুড়িয়ার সত্তর এবং বালানপুর গ্রামে ফের ‘অনুশাসন’ শুরু করে শাসকদল।

বিজেপি-র জেলা সভাপতি নির্মল কর্মকারের অভিযোগ, তাঁদের বেশ কয়েক জন সমর্থকের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর-ভাঙচুরই নয়, ঘর-ছাড়া বিজেপি সমর্থকদের যে ট্রাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার চালককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। বালানপুর গ্রামে আতঙ্ক ছড়াতে তৃণমূল কর্মীরা বোমা-গুলিও ছোড়েন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবারই দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল বাবুলের। খবর পেয়ে দিল্লি-যাত্রা স্থগিত রেখে সাত-সকালেই ওই গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি সমর্থকদের ভাঙা-চোরা ঘরবাড়ি, ব্যবহৃত গুলির ছড়িয়ে থাকা খোল দেখে ক্ষুব্ধ বাবুল বলেন, “এর পরেও পুলিশ বলছে কিছুই হয়নি। এই জমানায় পুলিশ দেখছি তৃণমূলের ক্যাডারের মতো আচরণ করছে।”

গ্রামবাসীদের তিনি বলেন, “আমি তো সব সময় আসতে পারব না। আপনাদেরই পাল্টা রুখে দাঁড়াতে হবে।” জামুড়িয়া থানাতে গিয়েও অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু থানায় গিয়েই দেখেন, আগেভাগেই পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, একটি মালবাহী গাড়িতে ‘বোমা-অস্ত্র’ নিয়ে বিজেপি সমর্থকেরাই সোমবার রাতে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। দলের হয়ে মুখ খোলেন ‘বিতর্কিত’ স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটকও। তিনি বলেন, “এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিজেপি-র কয়েক জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”

যা শুনে ক্ষুব্ধ বাবুল বলেন, “আক্রান্ত হচ্ছি আমরা অথচ, আমাদের নামেই অভিযোগ হচ্ছে।” নির্বাচনের আগেও প্রচারে বেরিয়ে রীতিমতো ‘অস্ত্র আইনে’ অভিযুক্ত হয়েছিলেন বাবুল। তাঁর অভিযোগ, “নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের কাছে বাধা পেয়েছিলাম আমরাই। অথচ শাসকদল আমার বিরুদ্ধেই অস্ত্র আইনে মামলা করেছিল।” বিজেপি-র অভিযোগ, ভোটের পরেও দলীয় কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন অথচ মিথ্যা মামলায় একই ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদেরই।

jamuria bjp babul supriyo tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy