Advertisement
E-Paper

টেস্টে ফেল করব, হুজ্জুতিও করব

প্রতিটি বিষয়ে পাশ নম্বরের চেয়ে ১৫ বা তারও কম পেয়েছে এমন ছাত্রীদের মাধ্যমিকের টেস্টে আটকে দিয়েছে স্কুল। কিন্তু মালদহের ইংরেজবাজারের বাবুপাড়ার শিবানী অ্যাকাডেমি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীদের দাবি, টেস্টে পাশ করিয়ে দিলে তারা মাধ্যমিকে উতরে যাবে। তাই টেস্টে পাশ করানোর দাবিতে বুধবার শিক্ষিকাদের প্রায় সাত ঘণ্টা তালাবন্দি করে রেখে বিক্ষোভ দেখাল তারা। সামিল হন কিছু অভিভাবকও।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:২২
মালদহের শিবানী অ্যাকাডেমির দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে ছাত্রীরা। বুধবার।  ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।

মালদহের শিবানী অ্যাকাডেমির দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে ছাত্রীরা। বুধবার। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।

প্রতিটি বিষয়ে পাশ নম্বরের চেয়ে ১৫ বা তারও কম পেয়েছে এমন ছাত্রীদের মাধ্যমিকের টেস্টে আটকে দিয়েছে স্কুল। কিন্তু মালদহের ইংরেজবাজারের বাবুপাড়ার শিবানী অ্যাকাডেমি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীদের দাবি, টেস্টে পাশ করিয়ে দিলে তারা মাধ্যমিকে উতরে যাবে। তাই টেস্টে পাশ করানোর দাবিতে বুধবার শিক্ষিকাদের প্রায় সাত ঘণ্টা তালাবন্দি করে রেখে বিক্ষোভ দেখাল তারা। সামিল হন কিছু অভিভাবকও। এ দিনই পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ১ ব্লকের ভগবানপুর হাইস্কুলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে অকৃতকার্য কিছু ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা লাঠি নিয়ে চড়াও হন। শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। হুজ্জোতির সময়ে অশালীন মন্তব্যও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

মালদহের স্কুলটিতে মাধ্যমিকের টেস্ট দিয়েছিল ৬৪ জন ছাত্রী। পাস করেছে ২৯ জন। প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস বলেন, “যারা সব বিষয়েই খুব কম নম্বর পেয়েছে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীরা মাধ্যমিক পাশ করতে পারত না।” অকৃতকার্যদের অভিভাবকদের কয়েক জনের কিন্তু দাবি, স্কুলে পঠনপাঠন ঠিক মতো হয় না বলেই পরীক্ষায় এই ফল হয়েছে। বিকেলে পুলিশ গিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে শিক্ষিকাদের মুক্ত করেন। তবে সুতপাদেবী জানান, মাধ্যমিকের ফর্ম পূরণ করার সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। অকৃতকার্য ছাত্রীদের পাশ করানো যাবে না।

এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ লাঠি নিয়ে কিছু অভিভাবক ও ছাত্র ভগবানপুর হাইস্কুলে চড়াও হন টেস্টে পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়েই। এই স্কুলে মাধ্যমিকের টেস্টে পাশ করতে পারেনি ১৫ জন ছাত্রছাত্রী। উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে অকৃতকার্য হয়েছেন পাঁচ ছাত্রছাত্রী। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, অকৃতকার্যদের কেউ কেউ পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ায় তাঁদের খাতা বাতিল হয়েছে। আর কয়েক জন একাধিক বিষয়ে ফেল করেছেন। স্কুলের পরিচালন সমিতি ও শিক্ষকেরা সিদ্ধান্ত নেন, অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের কোনও ভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না। সেই সিদ্ধান্তের কথা সোমবার সকলকে জানিয়েও দেওয়া হয়। এ দিন বিক্ষোভের পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতাপরঞ্জন হাজরা বলেন, “টেস্টে পাশ করানোর দাবিতে এমন আচরণ সমর্থনযোগ্য নয়।” স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক বলেন, “স্কুলের শিক্ষকদের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তবে উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে অকৃতকার্য পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা আবেদন করলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।”

test exam madhyamik
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy