দলের আয়-ব্যয়ের হিসেব চেয়ে সিবিআইয়ের তরফে কোনও চিঠি তাঁরা পাননি বলে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে রাজ্যের শাসক দলকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার বিকেলে তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে দলীয় মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি বলেন, “আমরা কোনও চিঠির কথা জানি না। টিভিতে দেখেছি। খবরের কাগজে পড়েছি।”
সারদা কাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যেই দলের আয়-ব্যয়ের তথ্য চেয়ে তৃণমূলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। মুকুলবাবু অবশ্য সিবিআইকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এখন আর ওই পদে নেই। তাই তথ্য দেওয়ার এক্তিয়ার তাঁর নেই। এই বিষয়ে এ দিন সুব্রতবাবুকে প্রশ্ন করায়, তিনি বলেন, “বললাম তো আমরা কিছু জানিনা।” তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনেও ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এমনকী, মুকুলের জবাব পেয়ে এবং তৃণমূল নেতারা যোগাযোগ না করলে নতুন করে নোটিস পাঠিয়ে তাঁদের দলের তহবিলের হিসেব নেওয়ার জন্য সিবিআই নোটিস পাঠাবে বলে জানা গিয়েছে। এ দিন তৃণমূলের তহবিল নিয়ে সিবিআইয়ের নোটিসের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে, পার্থবাবুও বলেন, “চিঠি পেলে দলের তরফে নিশ্চয় জবাব দেওয়া হবে।”
এ দিন সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেই দমদম বিমান বন্দর থেকে সোজা তৃণমূল ভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনও ভবনে সুব্রতবাবু, পার্থবাবু ছিলেন। তবে সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত এবং আয়-ব্যয়ের হিসেব চাওয়া নিয়ে দলনেত্রীর সঙ্গে নেতাদের কোনও কথা হয়নি। দলীয় এক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ৯২টি পুরসভার ভোটের প্রার্থী তালিকা তৈরি এবং প্রচারের রূপরেখা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সুব্রতবাবু, পার্থবাবু ছাড়াও রাজ্যের চার মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছিলেন। সেই বৈঠক নিয়ে এ দিন সন্ধ্যায় দলনেত্রীকে অবহিত করা হয়। আধ ঘণ্টা বাদেই অবশ্য মমতা ভবন ছেড়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy