Advertisement
E-Paper

দলত্যাগ নিয়ে রিপোর্ট অধীরের

বিপর্যয় বা দলে ভাঙন নিয়ে তিনি বিচলিত নন। কিন্তু রাজ্যে দলের পরিস্থিতি এআইসিসি-র সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীকে অবহিত করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাহুলকে বুধবারই চিঠি দিয়ে দলের হাল-হকিকত সবিস্তার জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে কংগ্রেসের কয়েক জন জনপ্রতিনিধি শাসক দলে যোগ দেবেন বলে কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল। সম্ভাব্য দলত্যাগীদের নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের একাংশ বোঝাপড়ারও চেষ্টা করেছিলেন।

সঞ্জয় সিংহ

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৪ ০২:৫৬

বিপর্যয় বা দলে ভাঙন নিয়ে তিনি বিচলিত নন। কিন্তু রাজ্যে দলের পরিস্থিতি এআইসিসি-র সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীকে অবহিত করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাহুলকে বুধবারই চিঠি দিয়ে দলের হাল-হকিকত সবিস্তার জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।

ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে কংগ্রেসের কয়েক জন জনপ্রতিনিধি শাসক দলে যোগ দেবেন বলে কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল। সম্ভাব্য দলত্যাগীদের নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের একাংশ বোঝাপড়ারও চেষ্টা করেছিলেন। তবুও ২১ জুলাই কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সচেতক তথা বীরভূমের হাসনের বিধায়ক অসিত মাল, উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের মহম্মদ গোলাম রব্বানি এবং পুরুলিয়ার পাড়ার উমাপদ বাউড়ি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দল ছেড়েছেন উত্তরবঙ্গের ডুর্য়াসের দলের প্রভাবশালী নেতা মোহন শর্মাও।

পুরো বিষয়টি জানিয়ে রাহুলকে দেওয়া তাঁর চিঠিতে তিন বিধায়ক কেন দল ছেড়েছেন, তার প্রাথমিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। দিল্লি থেকেই অধীর এ দিন বলেন, “তিন বিধায়কের দল ছাড়া নিয়ে খোঁজখবর নিয়ে যা জেনেছি, তা রাহুল গাঁধীকে জানিয়েছি। আগামী বিধানসভা ভোটে জয় নিশ্চিত করতেই ওঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” তিন বিধায়ক চলে গেলেও ‘দলের সম্পদ’ কর্মীরা কেউ দল ছাড়েননি বলে অধীর এ দিনও দাবি করেছেন। দলের প্রবীণ নেতা ও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়েরও দাবি, “আমাদের দল থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা চলে যাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু যারা তাঁদের নির্বাচিত করেছে, সেই মানুষ কিন্তু এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে আছে।”

প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের অনেকেই অবশ্য অধীরবাবুদের এই দাবির সঙ্গে সহমত নন। তাঁদের বক্তব্য, জনপ্রতিনিধি বা নেতারা দল ছাড়লে তাঁদের অনুগামীরাও দল ছাড়েন এবং ছেড়েছেনও। যেমন, উত্তরবঙ্গের মোহনের সঙ্গে আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত সমিতির ২১ জন, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৭ জন, ১১ জন অঞ্চল সভাপতি এবং তরাই-ডুয়ার্সের ২১টি চা-বাগানের কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের অধিকাংশ সদস্যই দল ছেড়েছেন। দলে আরও ভাঙন রোধে দিল্লির হাইকম্যান্ডের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের অবিলম্বে আলোচনায় বসার কথা মানস ভুঁইয়ার মতো বর্ষীয়ান নেতারা বলছেন। দলেরই এক নেতার কথায়, “গঙ্গা-পদ্মার ভাঙনে যেমন বাড়ি-স্কুল তলিয়ে যায়, তেমনই ভাঙনে দলের ভিতও আলগা হয়।

এই ভাবে চললে কংগ্রেসে চিরাচরিত গ্রুপবাজি করার মতো লোকও থাকবে না!”

অধীরবাবু অবশ্য সর্বস্তরে ভাঙনের এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, “আমি নিজে জেলা-সফর শুরু করেছি। আমাদের কর্মীদের মনোবল অটুট রয়েছে। আমি সর্বভারতীয় নেতৃত্বকেও জানিয়েছি, পুজোর পরে আমরা রাজ্য সরকারের নানা ব্যর্থতা নিয়ে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের কর্মসূচি নেব।” দেবপ্রসাদবাবু আবার কংগ্রেস বিধায়কদের দলত্যাগের চেয়ে দেশে বর্তমান সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান নিয়েই বেশি চিন্তিত! তাঁর কথায়, “এখন দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে উদ্ধার করতে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে একজোট করাটাই জরুরি।” বিষয়টি নিয়ে তিনি তৃণমূল-সহ বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করেছেন।

party leaving congress report adhir choudhury sanjoy sinha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy