তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের সভায় বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে শো-কজ বা কারণ দর্শানোর নোটিস দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক তথা জেলার নির্বাচন আধিকারিক তাপস চৌধুরী। সোমবার দেওয়া ওই নোটিসের জবাবও মঙ্গলবার দিয়ে দিয়েছেন মানিকবাবু। প্রশাসন সূত্রে খবর, জবাবে তিনি জানিয়েছেন, বালুরঘাটের ওই সভায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক কোনও বক্তব্য তিনি রাখেননি।
বিরোধীদের অবশ্য দাবি, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বালুরঘাটে নাট্যতীর্থ মঞ্চে জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ওই সভায় মানিকবাবু সরাসরিই রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন। সভায় ছিলেন বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষও। সেখানেই মানিকবাবু বলেন, “বাম আমলে তৃণমূলের কারও চাকরি হয়নি। ওই নিয়ম আমরা ভেঙে দিয়েছি। এখন থেকে তৃণমূলের ছেলেমেয়েদের চাকরি হবে। অন্যদেরও হবে। এর জন্য জেলে যেতে হয় যাব।”
পর্ষদ সভাপতির ওই বক্তব্যের কথা জানাজানি হতেই রাজ্য জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিরোধীরা বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানান। গত রবিবার কলকাতায় উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ জেলাশাসকের কাছে ওই ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চায়। তাপসবাবু পর্ষদ সভাপতিকে শো-কজ করা হবে বলে জানান। সোমবার কলকাতা থেকে ফিরে জেলাশাসক শো-কজের চিঠি পাঠান।
এ দিন অবশ্য এ বিষয়ে তাপসবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পর্ষদ সভাপতি মানিকবাবু টেলিফোনে বলেন, “বিষয়টি নির্বাচন কমিশন এবং আমার ব্যাপার। সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলব কেন?” তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “নির্বাচন কমিশন আমাকে চিঠি দিল কি দিল না, তা আপনারা কী করে জানলেন? এ বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।”