এ বারের ভোটে তাদের প্রত্যাশা বেশি। তাই বিক্ষোভও বাড়ছে বিজেপি-তে। প্রার্থী বদলের দাবিতে সোমবার ফের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ হল বিজেপি-র রাজ্য দফতরে।
কর্মী অসন্তোষের জেরেই বহরমপুর এবং জয়নগর কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেছে বিজেপি। কিছু দিন আগেই দলের রাজ্য দফতরে এসে নদিয়ার রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী বদলের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা। সেই তালিকায় এ বার সংযোজন হল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক। বাদশা আলমের পরিবর্তে গত বারের প্রার্থী রাজশ্রী চৌধুরীকেই ওই কেন্দ্রে ফের প্রার্থী করার দাবিতে এ দিন রাজ্য দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিলেন জেলার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশ।
তবে রানাঘাটের মতোই তমলুকের ক্ষেত্রেও বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নিতে নারাজ বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব।
বিজেপি-তে এ ভাবে প্রার্থী বদলের দাবিতে ঘনঘন বিক্ষোভ আগে এ রাজ্যে সচরাচর দেখা যেত না। কংগ্রেস বা তৃণমূলে এই ধরনের বিক্ষোভের নজির তুলনায় অনেক বেশি। সরাসরি বিক্ষোভ না-হলেও প্রার্থী নিয়ে স্থানীয় স্তরের অসন্তোষ অনেক সময়ই প্রকাশ্যে এসেছে বাম দলগুলিতেও। এ রাজ্যে বিজেপি-র শক্তি কম বলেই এত দিন সে ভাবে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটত না।
এ বার মোদী-হাওয়ায় বিজেপি-তে টিকিট-প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ ভাবে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে দলের একাংশের অভিমত।
প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি নিয়ে এ দিন তমলুক থেকে আসা কর্মী-সমর্থকেরা দলের সাধারণ সম্পাদক রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে লিখিত ভাবে তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন।
তবে বিক্ষোভকারীদের দাবিতে বিশেষ কর্ণপাত করার ইঙ্গিত মেলেনি বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্বের তরফে। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ তখন প্রচারে বীরভূমে ছিলেন। পরে রাহুলবাবুর প্রতিক্রিয়া, “রাজশ্রীর খুবই সুনাম রয়েছে। বিশেষ কারণে তমলুকে এ বার রাজশ্রীকে প্রার্থী করা যায়নি। তাঁর অনুরাগীদের অনেকেই চাইছেন, তাঁকে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু কোনও মূল্যেই প্রার্থী বদলের প্রশ্ন নেই।”