বাগডোগরা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলছেন শেরপারা। মঙ্গলবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
আগামী বছরের জানুয়ারিতেই শেরপা উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করলেন শেরপা সংগঠন অল শেরপা অ্যাসোসিয়েশন-এর তরাই ডুয়ার্স, দার্জিলিংয়ের আহ্বায়ক নিমা ওয়াংদি শেরপা।
মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এ কথা জানান তাঁরা। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক পুনীত যাদব মঙ্গলবার তাঁকে এ কথা জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। এ ব্যপারে সরকারি কোনও সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে কিনা, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে পুনীত যাদব স্বীকার করেছেন, নবান্ন থেকে মৌখিক প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, “মৌখিক সম্মতি পেয়েছি। তবে এখনও লিখিত কোনও চিঠি আসেনি। তা এলেই সরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে।”
মঙ্গলবার নিমা ওয়াংদি শেরপা বলেন, “জানুয়ারিতে আমাদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হবে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। উনি আসার ব্যপারে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেখানেই সম্ভবত উন্নয়ন পর্ষদের ব্যপারে চূড়ান্ত ঘোষণা হবে।” তামঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ, লেপচা উন্নয়ন পর্ষদের পর এবার শেরপারা নিশ্চিত যে তাঁদেরও মুখ্যমন্ত্রী হতাশ করবেন না। তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, ১৫ থেকে ২০ জানুয়ারির যে সম্মেলন রয়েছে, সেখানেই বার্তা মিলবে।
এ দিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে পাহাড়-তরাই-ডুয়ার্স থেকে শেরপারা হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। খাদা পরিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানান তাঁরা। প্রায় আড়াইশো শেরপা মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তাঁদের ভাষায় ধ্বনি দিতে থাকেন। শেরপাদের শিলিগুড়ির মুখপাত্র সোনম ওয়াংদি শেরপা বলেন, “১৯৫০ সালে আমরা তফসিলি জনজাতির স্বীকৃতি পেয়েছি। তারপর কোনও উন্নতি হয়নি। আমরা উন্নয়ন চাই।” জিটিএ থেকে উন্নয়নের কাজ হলে তাঁদের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন। তবে আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ হলে গোটা জাতির প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে মত তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy