Advertisement
E-Paper

বিধানসভায় একাই লড়ে যাবেন, বোঝালেন শমীক

দলের একমাত্র বিধায়ক। বলার সুযোগ মিলবে কম। তার মধ্যেই বিধানসভায় বিজেপি-র অস্তিত্ব টের পাওয়ানোর লড়াইয়ে কসুর করবেন না বলে জানালেন শমীক ভট্টাচার্য। বসিরহাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক হিসাবে শপথ নিয়ে শুক্রবার শমীক বুঝিয়েছেন, রাজ্যের যাবতীয় প্রশ্নে সরকার পক্ষের জবাব চাইতে তিনি বিধানসভায় সরব হবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:২৫
হাল্কা মেজাজে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এবং তৃণমূল নেত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভায়। ছবি: সুমন বল্লভ।

হাল্কা মেজাজে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এবং তৃণমূল নেত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভায়। ছবি: সুমন বল্লভ।

দলের একমাত্র বিধায়ক। বলার সুযোগ মিলবে কম। তার মধ্যেই বিধানসভায় বিজেপি-র অস্তিত্ব টের পাওয়ানোর লড়াইয়ে কসুর করবেন না বলে জানালেন শমীক ভট্টাচার্য। বসিরহাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক হিসাবে শপথ নিয়ে শুক্রবার শমীক বুঝিয়েছেন, রাজ্যের যাবতীয় প্রশ্নে সরকার পক্ষের জবাব চাইতে তিনি বিধানসভায় সরব হবেন।

এ দিন বিধায়ক হিসাবে শপথ নেন চৌরঙ্গি থেকে তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী নয়না আগেও এক বার বৌবাজার থেকে বিধানসভায় এসেছিলেন। রাজ্য রাজনীতিতে এখন বিজেপি-তৃণমূলের প্রবল দ্বৈরথ। উপনির্বাচনে জয়ী বিজেপি-তৃণমূলের দুই নতুন বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সহাবস্থানে ঘাটতি চোখে পড়েনি! স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তো বটেই, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র অনুষ্ঠানে ছিলেন। সরকার ও বিরোধী শিবিরের দুই শীর্ষ নেতা নতুন বিধায়কদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ঘরোয়া পরামর্শও দেন। কংগ্রেসের কেউ ছিলেন না।

শপথ সেরেই বিধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালনে নেমে পড়েন শমীক। যাদবপুর-কাণ্ডে তৃণমূলের পাল্টা মিছিলে যোগ না দেওয়ায় তারকেশ্বরের শেখ নাসিম শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নাসিমকে এ দিন দেখতে গিয়েছিলেন শমীকবাবু। তার আগে শপথ নিয়ে তিনি বলেন, বসিরহাট এলাকায় অনুপ্রবেশের সমস্যা বিধানসভাতেও যথাসাধ্য তুলে ধরবেন। পুজোর পরে ফের দ্বারস্থ হবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহেরও। শমীকবাবুর কথায়, “বিজেপি-র যখন মাত্র দু’জন সাংসদ, তখন হাম দো, হমারা দো বলে কংগ্রেস কটাক্ষ করত! সেখান থেকে দলটা এত বড় হয়েছে।”

পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থবাবু অবশ্য বিধানসভায় বিজেপি-র ‘অনুপ্রবেশে’ চিন্তার কিছু দেখছেন না। তাঁর বক্তব্য, “ভোটে জিতে উনি এসেছেন, বিধায়ক হিসাবে প্রাপ্য অধিকার পাবেন। কিন্তু বিধানসভার বিন্যাস তো বদলাবে না!” আর নয়না জানান, বিধানসভার ভিতরে-বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মসূচির শরিক হবেন।

assembly shamik bhattacharya nayana bandyopadhyay bjp
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy