কলকাতায় এনআইএ-র এক অফিসারের বাড়ির জানালার কাচ কী ভাবে ভাঙল, সেই ব্যাপারে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চাইল পুলিশ। ভাঙা কাচের টুকরো নিয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখবেন, কোন বস্তুর আঘাতে সেগুলি ভেঙেছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, গোখেল রোডের পুলিশ আবাসনের বাসিন্দা, এনআইএ-র ইনস্পেক্টর অর্পণ সাহার ফ্ল্যাটের জানলার কাচ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেউ পাথর ছুড়ে ভেঙে দেয় বলে ওই অফিসার ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ব্যাপারে ওই অফিসার কিছু পাথরও থানায় জমা দেন এবং জানান, ওই ধরনের পাথর গোখেল রোড বা তার আশপাশে পাওয়া যায় না। পুলিশের বক্তব্য, এর মাধ্যমে ওই অফিসার বোঝাতে চেয়েছেন, বাইরে থেকে এসে কেউ ওই আবাসনে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। অর্পণবাবু খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তে যুক্ত রয়েছেন গোড়া থেকেই। সেই তদন্তের সঙ্গে ওই কাচ ভাঙার সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মঙ্গলবার রাতেই এনআইএ-র কর্তাদের একাংশ লালবাজারের অফিসারদের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পুলিশ আবাসনের ফ্ল্যাটে ইনস্পেক্টর অর্পণবাবু ও তাঁর স্ত্রী থাকেন। কাচ ভাঙার সময়ে তাঁরা ফ্ল্যাটে ছিলেন না।
পুলিশের বক্তব্য, এক মহিলা বুধবার জানিয়েছেন, কাচ ভাঙার শব্দ পেয়ে তিনি ছুটে যান এবং দেখেন কয়েকটি বাচ্চা দৌড়ে পালাচ্ছে। লালবাজারের এক কর্তার দাবি, বাচ্চাদের খেলার সময়ে টেনিস বলের আঘাতে কাচ ভাঙে। পুলিশের এক অফিসার বলেন, “নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না। ঝুঁকি না রেখে ফরেন্সিক সাহায্য চেয়েছি।”
এনআইএ-র এক কর্তা বলেন, “কাচ ভাঙার তদন্ত আমরা করতে যাব না। কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। সত্যিটা নিশ্চয়ই বেরোবে।” তবে ঘটনার সঙ্গে খাগড়াগড় তদন্তের সম্পর্ক আছে কি না, সেই ব্যাপারে এনআইএ এখনই কিছু বলছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy