Advertisement
E-Paper

ভর্তির টাকা ফেরত চেয়ে এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা

ভক্তবালা বিএড কলেজে ভর্তি নিয়ে দুর্নীতির রেশ পিছু ছাড়ছে না কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের। আবারও ভক্তবালা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও হুমকির অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারস্থ হলেন বিএডের চলতি শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভক্তবালায় ভর্তি হওয়া ১৬ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ১৪ জন বৃহস্পতিবার উপাচার্য রতনলাল হাংলুর সঙ্গে দেখা করতে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৪ ০৩:২৭

ভক্তবালা বিএড কলেজে ভর্তি নিয়ে দুর্নীতির রেশ পিছু ছাড়ছে না কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের। আবারও ভক্তবালা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও হুমকির অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারস্থ হলেন বিএডের চলতি শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা।

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভক্তবালায় ভর্তি হওয়া ১৬ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ১৪ জন বৃহস্পতিবার উপাচার্য রতনলাল হাংলুর সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ভক্তবালার অনুমোদন বাতিল করে তাঁদের অন্য বিএড কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দিলেও প্রথম বার ভক্তবালায় ভর্তির সময় জমা দেওয়া টাকা ফেরত না পাওয়ায় অন্য কলেজে ভর্তি হতে পারছেন না তাঁরা। ১ জুলাই থেকে বিএডের ক্লাস শুরু হয়ে গেলেও তাঁরা ভর্তি হতে না পারার জন্য ক্লাস করতে পারছেন না। অথচ এই ১৬ জনই বিএডের ভর্তির জন্য প্রথম কাউন্সেলিংয়ে এগিয়ে ছিলেন। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই ছাত্র-ছাত্রীরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান। উপাচার্যের ঘরের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা জানান এভাবে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব নয়। এরপর ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন পরীক্ষা নিয়ামকের কাছে যান। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর এই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দু’জনকে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়। মৌসুমী মজুমদার ও ইলা গোলদার নামে দুই ছাত্রী কথা বলতে গেলে পরীক্ষা নিয়ামক পার্থসারথি দে তাঁদের একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে বলেন। মৌসুমী বলেন, ‘‘নতুন পরীক্ষা নিয়ামকের দ্বারস্থ হয়ে আমাদের সমস্যাটা ওঁকে জানিয়েছি। ৪০ মিনিট ধরে উনি সবটা শুনেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ভর্তির ব্যবস্থা করবে এই আশ্বাস দিয়েছেন। উনি বলায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছি।’’ ভক্তবালার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরেও এ বছর ফের ছাত্র ভর্তি করানো নিয়ে ভক্তবালা কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রথম বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে অবশ্য সরকার তদন্ত করছে যে বিষয়ে সেই একই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি অপ্রয়োজনীয় এই অজুহাতে উপাচার্য নিজেই তা ভেঙে দেন। এ দিন ভক্তবালায় ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, অনুমোদন বাতিল হওয়ার পরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের ভর্তি ফি ৫৩ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ফি বাবদ নেওয়া কয়েক হাজার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। এক ছাত্রী বলেন, ‘‘টাকা ফেরত চাইলে কলেজের পক্ষ থেকে ফোন করে ক্ষতি করে দেবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ দিকে ওই টাকা ফেরত না পেলে নতুন করে অন্য কলেজে ভর্তি হতে পারছি না।’’ উপাচার্য রতনলাল হাংলু বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের উচিত অবিলম্বে পুলিশে অভিযোগ জানানো। কারণ, ভক্তবালা কর্তৃপক্ষ তথ্য গোপন করে ওই পড়ুয়াদের ভর্তি নিয়েছিলেন।”

bhaktabala b.ed college bribery case kalyani
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy