যাত্রী সেজে ট্রেনে উঠে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠপাট চালালো এক দল দুষ্কৃতী। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে হুগলির পাণ্ডুয়া থেকে বর্ধমানের শক্তিগড়ের মধ্যে আপ হাওড়া-মোকামা প্যাসেঞ্জারের একটি সাধারণ কামরায়। যাত্রীদের টাকা, মোবাইল ফোন ও গয়না ছিনিয়ে নিয়ে শক্তিগড় এবং গাংপুর স্টেশনের মধ্যে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রবিবার এক দুষ্কৃতীকে গাংপুর স্টেশনের কাছ থেকে বমাল গ্রেফতার করে রেল পুলিশ।
হাওড়া রেল এসপি মিলনকান্ত দাস বলেন, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সঙ্গীদের খোঁজ চলছে। ধৃতের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার ৮০০ টাকা, দু’টি মোবাইল ফোন এবং একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে।”
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাত সওয়া ১২টা নাগাদ চুঁচুড়া এবং ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে সাত যুবক ওই ট্রেনের পিছন দিকের সাধারণ কামরায় ওঠে। তারা যাত্রী সেজে বসেছিল। ট্রেনটি পাণ্ডুয়া স্টেশন পেরনোর পরই তারা আগ্নেয়াস্ত্র, ভোজালি বের করে জনা ২০ জন যাত্রীর কাছ থেকে টাকা, মোবাইল এবং গয়না ছিনিয়ে নেয়। কামরায় আরপিএফের কেউ ছিলেন না। লুঠপাটের সময়ে বাধা দিতে গেলে কয়েক জন যাত্রীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। শক্তিগড় স্টেশন পেরনোর পরে দুষ্কৃতীরা নেমে গা-ঢাকা দেয়। গাংপুরের পরের স্টেশন বর্ধমানে তাঁরা রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও ট্রেন ছেড়ে দেওয়ায় পারেননি।
ট্রেনটি রবিবার ভোরে দুর্গাপুর পৌঁছলে যাত্রীরা স্টেশনে নেমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ট্রেনের চালককে ঘটনার কথা জানান। এর পরে, দুর্গাপুর রেল পুলিশ (জিআরপি) থানায় অভিযোগ জানান। তাঁদের অধিকাংশই বিহারের বাসিন্দা। রেল পুলিশ ব্যান্ডেল জিআরপি-কে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। ভোরের আলো ফোটার আগেই দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy