দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের লড়াইয়ে দলের নতুন সর্বভারতীয় সভাপতিকে ময়দানে নামাচ্ছে বিজেপি। বসিরহাট দক্ষিণ এবং চৌরঙ্গি কেন্দ্রে উপনির্বাচন ১৩ সেপ্টেম্বর। তার ৬ দিন আগে, ৭ সেপ্টেম্বর চৌরঙ্গিতে জনসভা করবেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
বস্তুত, ৬-৭ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়িতে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই উপলক্ষেই ওই সময়ে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে সভা করার কথা ছিল অমিতের। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় পরিকল্পনা বদলেছে বিজেপি। আগামী বছরের পুরভোটের আগে আসন্ন উপনির্বাচনকে এক রকম মহড়া হিসাবেই দেখছে তারা। উপনির্বাচন না মেটা পর্যন্ত অন্য কোনও বিষয়ে কালক্ষেপ করতে রাজি নন দলীয় নেতৃত্ব। শিলিগুড়ির কর্মসূচি তাই সরে আসছে কলকাতায়। যাতে দলের ভবিষ্যতের রোডম্যাপ তৈরির সঙ্গে সর্বভারতীয় সভাপতিকে উপনির্বাচনের প্রচারেও ব্যবহার করা যায়।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ মঙ্গলবার জানান, ৬ সেপ্টেম্বর মাহেশ্বরী সদনে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে থাকবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলাল। পর দিন বৈঠকে থাকবেন অমিত। ওই দিনই পরে তিনি চৌরঙ্গি কেন্দ্রের মধ্যে কোথাও জনসভা করবেন। প্রত্যাশিত ভাবেই দু’দিনের বৈঠকে থাকার কথা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহের। রাহুলবাবু বলেন, “অমিত শাহের সভা চৌরঙ্গির যুদ্ধে আমাদের কিছুটা সুবিধা করে দেবে।”
রাজ্য বিধানসভা এখন বিজেপি-শূন্য। লোকসভার ফলের নিরিখে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে তারা অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে। বিজেপি-র লক্ষ্য, দু’বছর পরে বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যে তৃণমূলকে সরিয়ে ফের পরিবর্তন নিয়ে আসা। সে জন্য রাহুলবাবু ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলা সফর এবং দলের আন্য কর্মসূচি স্থগিত রেখেছেন। আজ, বুধবার বিজেপি-র নির্বাচনী কমিটি উপনির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করতে ফের বৈঠকে বসবে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত আজই দিল্লিতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিজেপি-র তরফে এ দিনই অসীম সরকার, প্রভাকর তিওয়ারি, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তের সঙ্গে দেখা করে উপনির্বাচনে আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। পরে রাহুলবাবু বলেন, “লোকসভা ভোটের মতো উপনির্বাচনও যাতে প্রহসনে পরিণত না হয়, সে জন্যই আমাদের ওই আর্জি।” সুনীলবাবু জানান, বিজেপি-র দাবির কথা তিনি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেবেন। তাঁর আরও বক্তব্য, যে দু’টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy