গরমের ছুটি পড়ে যাচ্ছে আদালতে। তাই বীরভূমের পাড়ুইয়ে সাগর ঘোষ হত্যা মামলার শুনানি অন্তত ২০ দিন পিছিয়ে গেল। ২ জুন কলকাতা হাইকোর্ট ফের খোলার পরে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত জানাবেন, তিনি কবে ওই মামলাটি শুনবেন।
আবেদনকারী নেপালকৃষ্ণ রায়ের আইনজীবী তাপস ঘোষ এবং নিহত সাগরবাবুর ছেলে হৃদয় ঘোষের আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহরায় মামলাটির শুনানির জন্য মঙ্গলবার আবেদন জানান। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি দত্ত শুনানি পিছোনোর কথা জানিয়ে দেন। আদালত সূত্রের খবর, হাইকোর্টে ছুটি পড়বে ১৬ মে।
২০১৩ সালের ২১ জুলাই, চতুর্থ দফার পঞ্চায়েত ভোটের আগের রাতে পাড়ুইয়ের কসবা গ্রামের বাঁধ-নবগ্রামে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলকর্মী সাগরবাবু। তাঁর ছেলে হৃদয়বাবু ওই নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। ভোটের ঠিক আগের দিন প্রার্থীর বাবা খুন হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে জড়িয়ে যায় শাসক দলের জেলা নেতাদের নাম। সেই থেকে সাগর-হত্যা মামলা চলছে। প্রথমে ওই খুনের তদন্ত করছিল সিআইডি। সেই তদন্তে অসন্তুষ্ট হয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র নেতৃত্বে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে হাইকোর্ট। সিটের তিনটি তদন্ত রিপোর্টেও ঘটনাটি নিয়ে কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পায়নি হাইকোর্ট। বিচারপতি দত্ত জানিয়ে দেন, সিবিআই-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে তিনি চিন্তাভাবনা করছেন।
তার পরেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তার শুনানির উপরে তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করে। সেই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সাগরবাবুর পরিবার। সর্বোচ্চ আদালত পরিবারের আবেদন খারিজ করে দেয়। মামলাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে অবিলম্বে শুনানি শেষ করার নির্দেশ দেয় তারা। প্রধান বিচারপতি আবার মামলাটি ফিরিয়ে দেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে।
হিংসা নিয়ে সতর্ক করলেন রাজ্যপাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
ভোট মিটতেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁরা প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক করেন। ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে বলেছেন রাজ্যপাল। বৈঠকের পরে মুকুলবাবু জানান, ২০ মে বঙ্গ-পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানাতেই তাঁরা রাজভবনে গিয়েছিলেন। রাজভবন সূত্রের খবর, নির্বাচনী আচরণবিধি বহাল থাকায় দীর্ঘদিন রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা হয়নি। ভোটপর্ব মিটতেই তাই রাজভবনে এসেছিলেন তিনি। প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে সাম্প্রতিক সব বিষয় নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, রাজ্যে পাঁচ দফার ভোট এবং নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়েও রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। ভোট পরবর্তী গোলমাল যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে বলেন রাজ্যপাল। সোমবার পঞ্চম দফার ভোট মিটতেই কিছু জেলায় গোলমাল ছড়ায়। মঙ্গলবারও তা অব্যাহত ছিল। তবে নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যে শান্তি বজায় থাকায় সন্তুষ্ট রাজ্যপাল। মুকুলবাবু বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনাই হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy