Advertisement
E-Paper

শিক্ষা-বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিভ্রান্তি, আমলাকে কোর্টে তলব

পঞ্চাশ দিনের মধ্যে দু’টি বিজ্ঞপ্তি। শেষের বিজ্ঞপ্তিতে প্রথমটি বাতিল করার নির্দেশ। কেন বাতিল, তার কোনও ব্যাখ্যাই নেই। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে একটি মামলায় ওই দফতরের যুগ্মসচিবকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুলশিক্ষা দফতরের যুগ্মসচিব অসীমকুমার ভট্টাচার্যকে ২২ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে ওই বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দিতে হবে বলে বিচারপতি অসীমকুমার রায় বুধবার নির্দেশ দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৪ ০৩:১০

পঞ্চাশ দিনের মধ্যে দু’টি বিজ্ঞপ্তি। শেষের বিজ্ঞপ্তিতে প্রথমটি বাতিল করার নির্দেশ। কেন বাতিল, তার কোনও ব্যাখ্যাই নেই।

রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে একটি মামলায় ওই দফতরের যুগ্মসচিবকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুলশিক্ষা দফতরের যুগ্মসচিব অসীমকুমার ভট্টাচার্যকে ২২ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে ওই বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দিতে হবে বলে বিচারপতি অসীমকুমার রায় বুধবার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রণবেশ সরকার নামে এক ব্যক্তি স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৩ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রমোদ দাশগুপ্ত স্মৃতি বিদ্যাপীঠে গণিতের শিক্ষক-পদে যোগ দেন। সেই সময় তিনি এমএসসি পার্ট ওয়ানের ছাত্র ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি এমএসসি পাশ করেন এবং সেই সুবাদে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে উচ্চ হারে বেতনের ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানান। কিন্তু জেলা স্কুল পরিদর্শক তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন। পরিদর্শক জানান, এমএসসি পরীক্ষায় বসার জন্য ওই শিক্ষক তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নেননি। সেই কারণে তাঁর আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি। স্কুল পরিদর্শকের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে মামলা করেন প্রণবেশবাবু।

এ দিন সেই মামলার শুনানির সময় প্রণবেশবাবুর আইনজীবী এক্রামুল বারি আদালতে জানান, চলতি বছরের ১৯ মে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের যুগ্মসচিব অসীমকুমার ভট্টাচার্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তাতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনও স্কুলশিক্ষক উচ্চতর শিক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুল পরিচালন কমিটি বা স্কুলের প্রশাসকের কাছ থেকেই প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে পারেন। কিন্তু গত ৮ জুলাই ওই যুগ্মসচিবই নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করে বলেছেন, ১৯ মে-র নির্দেশিকা বাতিল করা হল। ঠিক কী কারণে সেটি বাতিল করা হল, তা জানানো হয়নি বলে আবেদনকারীর আইনজীবীর অভিযোগ।

বিচারপতি স্কুলশিক্ষা দফতরের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, ওই যুগ্মসচিবকে আদালতে হাজির হয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তিটি ব্যাখ্যা করতে হবে।

asimkumar roy kolkata high court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy