সারদা কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের যোগাযোগের ব্যাপারে সিবিআইকে ‘দু’টি নির্দিষ্ট তথ্য’ দেওয়ার জন্য সোমবার আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেলবন্দি কুণালের কাছে পৌঁছে গেল সিবিআই। জেল সূত্রের খবর, বুধবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে কুণালের বয়ান রেকর্ড করলেন সিবিআইয়ের এএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার।
কারা দফতর সূত্রের খবর, এ দিন বেলা পাঁচটা নাগাদ সিবিআইয়ের ওই অফিসার প্রেসিডেন্সি জেলে আসেন। তাঁকে বসানো হয় প্রেসিডেন্সির অফিস ঘরে। এর কিছু ক্ষণ পরে পাজামা, টি-শার্ট এবং গায়ে চাদর জড়িয়ে খোশমেজাজে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে জেলের অফিসে আসেন কুণাল। সেখানে একটি ছোট টেবিলে মুখোমুখি দু’টি চেয়ারে বসেন কুণাল এবং সিবিআই অফিসার। নিয়মমাফিক একটু দূরে নজরদারির জন্য রাখা হয় জেলের এক অফিসারকে। প্রায় ফিসফিস করে সিবিআই অফিসারের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকেন কুণাল। জেল সূত্রের খবর, ঘণ্টাখানেক ধরে কুণালের বয়ান রেকর্ড করেন সিবিআই অফিসার। এর পরে সিবিআইয়ের ওই অফিসার চলে যান। এর পরে ফের গুনগুনিয়ে গান গাইতে অফিস থেকে বেরিয়ে নিজের সেলে চলে যান কুণাল।
জেল সূত্রে খবর, সারদা কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন কুণাল। জেলকর্মীদের মাঝেমধ্যেই বলছেন, “দলের শীর্ষ নেতারা সারদা থেকে নানা সুযোগ পেয়েছেন। এ বার সব ফাঁস করে দেব। আমার কাছে অনেক তথ্য রয়েছে।”
এ দিন মমতা-মুকুল সম্পর্কে নির্দিষ্ট কী তথ্য দিলেন কুণাল? এ ব্যাপারে সিবিআই কর্তারা অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy