Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
অবসরের পরেও পদোন্নতির চিঠি, আটকে পেনশনের পাওনা

সমস্যায় সাড়ে চারশো কেপিএস

অবসরের পরে পদোন্নতি। কাজে যোগ দিতে নির্দেশ এসেছে। কিন্তু কার্যত না কাজে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে, না বর্ধিত হারে বকেয়া বেতন বা সংশোধিত অবসরকালীন পাওনা পেয়েছেন এ রাজ্যের সাড়ে চারশো অবসরপ্রাপ্ত কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক বা কেপিএস। পরিস্থিতির জন্য আঙুল উঠেছে রাজ্য কৃষি দফতরের দিকে। এ নিয়ে কৃষি-অধিকর্তা পরিতোষ ভট্টাচার্য কথা বলতে চাননি। কৃষিমন্ত্রী পুর্ণেন্দু বসুর আশ্বাস, “কৃষি দফতরে পদোন্নতি এবং বদলি সংক্রান্ত নীতির জটিলতা আছে। তা কাটিয়ে একটি সর্বজনগ্রাহ্য নীতি প্রণয়ন করার কথা ভাবা হচ্ছে।”

নুরুল আবসার
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:৩২
Share: Save:

অবসরের পরে পদোন্নতি। কাজে যোগ দিতে নির্দেশ এসেছে। কিন্তু কার্যত না কাজে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে, না বর্ধিত হারে বকেয়া বেতন বা সংশোধিত অবসরকালীন পাওনা পেয়েছেন এ রাজ্যের সাড়ে চারশো অবসরপ্রাপ্ত কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক বা কেপিএস। পরিস্থিতির জন্য আঙুল উঠেছে রাজ্য কৃষি দফতরের দিকে। এ নিয়ে কৃষি-অধিকর্তা পরিতোষ ভট্টাচার্য কথা বলতে চাননি। কৃষিমন্ত্রী পুর্ণেন্দু বসুর আশ্বাস, “কৃষি দফতরে পদোন্নতি এবং বদলি সংক্রান্ত নীতির জটিলতা আছে। তা কাটিয়ে একটি সর্বজনগ্রাহ্য নীতি প্রণয়ন করার কথা ভাবা হচ্ছে।”

২০১০ সালের ২৯ মার্চ ৫১৪ জন কেপিএসের পদোন্নতি ঘটায় কৃষি দফতর। তৎকালীন কৃষি অধিকর্তা ওই নির্দেশটি দিয়েছিলেন। কিন্তু পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য কৃষি দফতরের সচিব চার দিন পরে কৃষি অধিকর্তার নির্দেশটি বাতিল করেন। বঞ্চিত কেপিএস-রা স্পেশ্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল-এ মামলা করেন। মামলায় তাঁরা হেরে যান। পরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে তাঁরা জেতেন। কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পদোন্নতির নির্দেশ কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মোতাবেক ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যের কৃষি অধিকর্তা পরিতোষ ভট্টাচার্য পদোন্নতি সংক্রান্ত নির্দেশটি দেন।

সেই নির্দেশের পরেই শুরু হয় সমস্যা। ২০১০-এ যে ৫১৪ কেপিএস পদোন্নতি পেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে পদোন্নতির নতুন নির্দেশ বেরনো পর্যন্ত সাড়ে চারশো জন অবসর নিয়েছেন। অথচ, সেই বিষয়টি মাথায় না রেখেই পদোন্নতির নির্দেশে সই করে তাঁদের বিভিন্ন ব্লক এবং বীজ খামারে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ আধিকারিক, সহকারী খামার ম্যানেজার পদে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই ৪৫০ কেপিএসের বক্তব্য, যেহেতু তাঁরা অবসরপ্রাপ্ত, বিডিও অফিস বা খামার ম্যানেজারেরা তাঁদের নতুন পদে যোগ দিতে দেননি। বর্ধিত হারে বকেয়া বেতন, সংশোধিত হারে পেনশন-এর ব্যবস্থার দায়িত্ব নিতে চাননি। কৃষিমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, “কেপিএসদের এত দিন পদোন্নতি হত না। পদোন্নতির যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে তাঁরা বর্ধিত পেনশন ও অন্য অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন।”

কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত কেপিএসদের অভিজ্ঞতা অন্য রকম। তাঁদের একটা বড় অংশ বলছেন, “আজব পদোন্নতি পেলাম!” আর কৃষিমন্ত্রীর আশ্বাস, “পদোন্নতিপ্রাপ্ত যে সব কেপিএস অবসর নিয়েছেন, তাঁরা সমস্যাটি নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে পারেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

KPS nurul absar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE