—প্রতীকী চিত্র।
শুরুটা হয়েছিল ঢাকায়। ক্রমে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনাতেও ছড়িয়ে পড়েছে মশাবাহিত সংক্রামক ডেঙ্গি। সরকারি হিসেব অনুযায়ী চলতি মরসুমে বাংলাদেশে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ১৭৬ জন। তার মধ্যে জুলাইয়েই ডেঙ্গির বলি ১২৯ জন। রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৯২ জন। মারা গিয়েছেন ৯ জন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৬৪ জন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২২৮ জন।
এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গি ছড়ায়। ফি বছর গরম পড়তেই ডেঙ্গি ছড়ায় বাংলাদেশে। ঢাকার ২টি সিটি কর্পোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে নানা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেও এ বারেও এই রোগের প্রকোপ মাত্রাছাড়া হয়েছে। দুই কর্পোরেশনের মেয়র বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছেন। বেশ কিছু আবাসন ও সংস্থার অফিসের চত্বরের জমা জলে এডিস মশার লার্ভা মেলায় জরিমানাও করা হয়েছে। কিন্তু পুরকর্তাদের অভিযোগ, হাজার প্রচারেও মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না। একই হাল চট্টগ্রাম ও বরিশালেও। এ বারে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা। চিকিৎসকেরা বলছেন, এডিস মশা কামড়ায় সাধারণত দিনের বেলা। শিশুদের চলাফেরা কম বলে তাদের মশা বেশি কামড়ায়। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বয়স্কদের থেকে কম হয়। সম্ভবত এই কারণেই শিশুদের সংক্রমণের মাত্রা বেশি।
ইতিমধ্যেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পাঁচটি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ছ’টি জায়গাকে ডেঙ্গির জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত কয়েক দিনে সব চেয়ে বেশি ডেঙ্গি সংক্রমণ ছড়িয়েছে এই সব এলাকায়। বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও বরিশালেও। কারণ ঢাকার বাইরে এই দুই বিভাগ থেকেই সব চেয়ে বেশি ডেঙ্গি রোগী মিলেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব বলছে, শনিবার পর্যন্ত গত দেড় মাসে মোট ৩০ হাজার ৬৮৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বাড়িতে চিকিৎসা হয়েছে এর কয়েক গুণ বেশি রোগীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy