বছর সত্তরের লিয়াকত আলি এবং তাঁর স্ত্রী শুমাইলা। ছবি: ইউটিউব।
পাত্রের বয়স ৭০। পাত্রী ১৯। ৫ বা দশ বছর নয়, একেবারে ৫১ বছরের ফারাক দু’জনের বয়সে। কিন্তু তাতে কী! তরুণীর দাবি, বয়সের ফারাক যতই হোক না কেন, এক জন খারাপ মানুষ জীবনে আসার থেকে সঠিক মানুষকেই জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেওয়াটা জরুরি। আর সেটাই তিনি করেছেন।
নেটমাধ্যমে পাকিস্তানের এই নবদম্পতিকে নিয়ে বেশ চর্চা চলেছে। পাত্রের নাম, লিয়াকত আলি। পাত্রী শুমাইলা। তাঁদেরই একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ইউটিউবার বাসিত আলি। সেই সাক্ষাৎকারে শুমাইলা জানিয়েছেন, বয়সের ফারাক দেখে এই সম্পর্কে তাঁর পরিবারও রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু লিয়াকতের প্রতি তাঁর প্রেমের কাছে শেষমেশ হার মানতে হয়েছে পরিবারকে। তাঁর কথায়, “একটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মান এবং মর্যাদা সব কিছুর উপরে। আর যেখানে সারা জীবনের একটা সম্পর্ক তৈরি হতে চলেছে, সেখানে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
সব কিছু জেনেবুঝেই এবং লিয়াকতের কাছ থেকে সেই সম্মান এবং মর্যাদা পেয়েছেন বলেই বিয়েতে সায় দিয়েছেন বলে দাবি তরুণীর। অন্য দিকে, লিয়াকত জানান, শরীরে বয়সের ছাপ পড়লেও, মনে কিন্তু তার কোনও প্রভাব পড়েনি। বয়সের ফারাক নিয়ে লিয়াকত বলেন, “আইনি দিক থেকে যদি কোনও বাধা না থাকে, তা হলে বয়সের ফারাক হলেও কে বুড়ো, কে জোয়ান তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কথাই নয়!”
এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাচক্রে, ঘটনাস্থল ছিল সেই পাকিস্তানই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy