হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণবৈষম্যের শিকার ভারতীয়-সহ এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্ররা, এমনই অভিযোগ জানিয়ে ২০১৫ সালের মে মাসে ৬৪টি এশীয়-মার্কিন অ্যাসোসিয়েশন চিঠি দিয়েছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে। যদিও ওবামা প্রশাসন প্রথমেই খারিজ করে দেয় সেই অভিযোগ। পরে থাকা সেই মামলার তদন্ত শুরু করতে চলেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
আইন মন্ত্রকের মুখপাত্র সারা ইসগার ফ্লোরস বলেন, ‘‘গত জমানায় প্রশাসন তদন্ত না করেই বিষয়টা ফেলে রেখেছিল। বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও তার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে।’’
অভিযোগকারী ৬৪টি সংগঠনের মধ্যে রয়েছে চারটি ভারতীয় সংস্থা। অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, ‘‘স্যাট (বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা)-এ ভাল ফল, যথেষ্ট গ্রেড পয়েন্ট, পুরস্কার এবং নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য আইভি লিগ কলেজগুলোতে জায়গা দেওয়া হচ্ছে না ভারতীয়-সহ এশীয়দের। কিন্তু ওই একই যোগ্যতা নিয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন অন্যান্য দেশের ছেলেমেয়েরা।’’
আরও পড়ুন: এফবিআই জালে ওয়ানাক্রাই-হিরো
বড় মাপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভারতীয় ছাত্রদের প্রভাব কমাতে বিশাল নম্বর হেঁকে বসছেন কর্তৃপক্ষরা। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষাতে দাবি করা হয়েছে, ‘‘স্যাটে পাশ করতে হলে শ্বেতাঙ্গদের থেকে ১৪০ পয়েন্ট বেশি পেতে হয় এশীয়দের।
ভারতের মতোই মার্কিন মুলুকেও আসন সংরক্ষণ রয়েছে। এই সুযোগ পাওয়ার কথা আফ্রো-মার্কিন, লাতিন পড়ুয়াদের। এশীয় সংগঠনগুলোর অভিযোগ, সেই সংরক্ষণ আইন বেআইনি ভাবে ব্যবহার করে শ্বেতাঙ্গ পড়ুয়াদেরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আর তার ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে ভারতীয় ও অন্য এশীয় ছাত্রছাত্রীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy