Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International

সংঘাতের ফল ভাল হবে না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি এ বার চিনা প্রধানমন্ত্রীর

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকাকে এ বার সরাসরি সতর্কবার্তা দিলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ছিল চিনের বাৎসরিক পার্লামেন্ট অধিবেশন ‘ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেস’-এর শেষ দিন। সেই উপলক্ষেই গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ ভাষণ দিয়েছেন চিনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াং।

আমেরিকা যদি চিনকে বাণিজ্যিক ভাবে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা করে, তা হলে ফল ভুগতে হতে পারে গোটা পৃথিবীকে। অনেকটা এমন কথাই শুনিয়েছেন চিনা প্রধানমন্ত্রী। ছবি: রয়টার্স।

আমেরিকা যদি চিনকে বাণিজ্যিক ভাবে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা করে, তা হলে ফল ভুগতে হতে পারে গোটা পৃথিবীকে। অনেকটা এমন কথাই শুনিয়েছেন চিনা প্রধানমন্ত্রী। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৭ ১৬:০১
Share: Save:

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকাকে এ বার সরাসরি সতর্কবার্তা দিলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ছিল চিনের বাৎসরিক পার্লামেন্ট অধিবেশন ‘ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেস’-এর শেষ দিন। সেই উপলক্ষেই গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ ভাষণ দিয়েছেন চিনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াং। সেই ভাষণে আমেরিকার উদ্দেশে তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘‘কোনও বাণিজ্যিক যুদ্ধ শুরু হোক, তা আমরা চাই না।’’ চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধে জড়ালে আমেরিকা খুব ভুল করবে, এমনই বার্তাই দিয়েছেন খ্যছিয়াং।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর বৈঠক হওয়ার কথা। ফ্রোরিডার মার-এ-লাগো রিসর্টে ৬-৭ এপ্রিল ট্রাম্প-চিনফিং বৈঠকে বসতে চলেছেন বলে জল্পনা। কিন্তু চিনের প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাষণে এ দিন সে কথা ঘোষণা করতে গিয়েও করলেন না। চিনা ও মার্কিন কূটনীতিকরা একটি মুখোমুখি বৈঠক আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছেন— শুধু এটুকু বলেই থেমে গেলেন খ্যছিয়াং।

এপ্রিলের গোড়াতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে চিনা প্রেসিডেন্টের। ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেসের সমাপ্তি পর্বে সেই মঞ্চই খানিকটা প্রস্তুত করলেন খ্যছিয়াং। ছবি: রয়টার্স।

চিনকে যে তিনি আমেরিকার ‘শত্রু’ বলেই মনে করেন, সে ইঙ্গিত ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক বার দিয়েছেন। আমেরিকায় চিনা পণ্যের আমদানির উপর চড়া শুল্ক বসানোর হুমকিও মাঝেমধ্যেই দেওয়া হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফ থেকে। চিনের ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেসের শেষ দিনে তা নিয়েই মুখ খোলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক নষ্ট করা নয়, আরও জোরদার করার লক্ষ্যেই এগনো উচিত আমেরিকা-চিনের, এমনই বার্তা দিয়েছেন তিনি। খ্যছিয়াং-এর কথায়: ‘‘এই সম্পর্ক শুধু চিন আর আমেরিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও এই সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ অর্থাৎ চিনা প্রধানমন্ত্রীর বার্তা হল, আমেরিকা যদি চিনের বিরুদ্ধে কোনও অদৃশ্য বাণিজ্যিক অবরোধও তৈরি করতে চায়, তা হলেও ফল ভাল হবে না। চিনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে গোটা বিশ্বকে তার ফল ভুগতে হবে, প্রচ্ছন্ন ভাবে এমনটাই বলতে চেয়েছেন খ্যছিয়াং।

আরও পড়ুন: মহান, তাই থাকতে দিয়েছি!

এপ্রিলে শি চিনফিং-এর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে বৈঠক হওয়ার কথা, সেখানে অনেকগুলি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে কূটনৈতিক মহল সূত্রের খবর। আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি নিয়ে কথা তো হবেই, দক্ষিণ চিন সাগর, তাইওয়ান এবং ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকা কোরীয় ইস্যু নিয়েও কথা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই বৈঠকের আগে ট্রাম্পকে যে খুব বেশি চটানো যাবে না, তা অবশ্য বেজিং ভালই জানে। তাই চিনা প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে চিন-আমেরিকা সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কিছু ইতিবাচক কথাও বলেছেন। চিন এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী এবং এই সম্পর্ক আরও ‘উজ্জ্বল’ হবে বলেও চিনা প্রধানমন্ত্রী এ দিন মন্তব্য করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE