দু’টি গুঁড়ির মাঝে লুকিয়ে রয়েছে অ্যানাকোন্ডা। ছবি সৌজন্য ইনস্টাগ্রাম।
কয়েক জন পর্যটককে নৌকায় চাপিয়ে ব্রাজিলের আরাগুইয়া নদীতে ঘোরাচ্ছিলেন জোয়াও সেভেরিনো। নদীর দু’পাশের জঙ্গল, পশু-পাখি এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যে মশগুল ছিলেন পর্যটকরা। হঠাৎই নদীর ধারে অগভীর জলের মধ্যে একটি অ্যানাকোন্ডা দেখতে পান সেভেরিনো।
গাইড হিসেবে কাজ করার সুবাদে কোথায় কী থাকতে পারে, কোথায় কোন পশু-পাখির দেখা মিলবে সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে বিস্তর। ফলে ‘জহুরি’র চোখ এড়ায়নি নদীতে দু’গাছের গুঁড়ির মাঝে কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকা অ্যানাকোন্ডাকে।
ব্রাজিলে গিয়েছেন, আর অ্যানাকোন্ডা দেখবেন না, এটা কখনও হয়! তাই পর্যটকদের সেই অ্যান্ডাকোন্ডা দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সেভেরিনো। পর্যটকদের নিয়ে অ্যানাকোন্ডার খুব কাছে গিয়ে ছবি তুলছিলেন সেভেরিনো। তখন আচমকাই জলের নীচ থেকে বিদ্যুৎগতিতে অ্যানাকোন্ডা বেরিয়ে এসে সেভেরিনোর হাত কামড়ে ধরে। এক ঝটকায় সেই কামড় ছাড়িয়ে নেন সেভেরিনো। কিন্তু তত ক্ষণে সাপটি দাঁত বসিয়ে দিয়েছিল সেভেরিনোর হাতে। যেমন বিদ্যুৎগতিতে হামলা চালিয়েছিল অ্যানাকোন্ডা, সেই গতিতেই আবার নদীতে মিলিয়ে গিয়েছিল সেটি।
জানা গিয়েছে, ওটি গ্রিন অ্যানাকোন্ডা ছিল। ৩০ ফুট লম্বা হয় এক একটি সাপ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ গ্রিন অ্যানাকোন্ডা। অ্যামাজনের ক্রান্তীয় অরণ্যে এদের দেখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy