মৃত শিক্ষিকা এলেন স্মিথ এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামী সেড্রিক অ্যান্ডারসন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাক্তন স্ত্রী-র ক্লাসরুমে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাঁকে খুন করলেন স্বামী। গুলিতে বেঘোরে মারা পড়ল এক পড়ুয়া, গুরুতর জখম আরও এক জন। গোটা ঘটনার শেষে নিজেকেও গুলি করে আত্মঘাতী হলেন ওই বন্দুকবাজ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্ডিনোর নর্থ পার্ক স্কুলের ঘটনা।
মৃত শিক্ষিকা ছিলেন ৫৩ বছরের এলেন স্মিথ। তিনি নর্থ পার্কে স্কুলের স্পেশ্যাল এডুকেশন পড়াতেন। কয়েক মাস আগেই সেড্রিক অ্যান্ডারসন নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন তিনি। গত একমাস ধরে তাঁরা আলাদা থাকছিলেন। এলেনের স্বামী হওয়ার সূত্রে তাঁকে চিনতেন স্কুলকর্মীরা৷ সেই সুযোগেই তিনি স্কুলে ঢোকেন৷ এবং কেউ তাঁকে সন্দেহও করেননি৷ এরপরই হামলা চালায় তিনি৷ গুলি করে হত্যা করেন নিজের স্ত্রীকে ও পরে নিজেকেও গুলি করেন৷ জানা গিয়েছে অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে হিংসা, নিষিদ্ধ মাদক সেবন ও অস্ত্র রাখার অভিযোগ ছিল।
আরও পড়ুন: নাকমুখ ফাটিয়ে এশীয় চিকিৎসককে নামানো হল আমেরিকান বিমান থেকে
স্মিথ যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন তখন গোটা ক্লাসরুমে ছিলেন ১৫ জন পডুয়া এবং স্মিথের দুই সহকারী। ক্লাসে ঢুকেই অ্যান্ডারসন তাঁর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। এর পর নিজের উপরও গুলি চালান তিনি। জোনাথন মার্টিনেজ নামে ৮ বছরের গুরুতর আহত এক ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তখনই তার মৃত্যু হয়। আর এক ছাত্রের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। ছবি: সংগৃহীত।
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। স্কুলের সামনে তাঁরা ভিড় জমান। এই ঘটনার পর মার্কিন পুলিশ বাকি ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে পাশের হাইস্কুলে সরিয়ে নিয়ে যায়। তবে বাকিরা সুরক্ষিত রয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ৷ ২০১৫-র ডিসেম্বরে এই সান বার্নার্ডিনোয় জঙ্গি হামলা চলায় দুই স্বামী স্ত্রী সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক ও তসফিন মালিক। নির্বিচারে গুলি ছুড়ে ১৪ জনকে খুন করে তারা, আহত হন ২২ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy