Advertisement
১১ মে ২০২৪
Remain In Mexico Policy

ট্রাম্পের শরণার্থী নীতি বদল রদ, ধাক্কা বাইডেনের

‘রিমেন ইন মেক্সিকো’ নামে প্রচলিত হলেও সরকারি নথিপত্রে ‘মাইগ্রেন্ট প্রোটেকশন প্রোটোকল’ নামেই পরিচিত নীতিটি।

জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।

জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৫৪
Share: Save:

আমেরিকায় প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো থেকে বেআইনি পথে অনুপ্রবেশ করা শরণার্থীর সংখ্যায় লাগাম পরাতে শক্ত হাতে তা মোকাবিলায় ব্রতী হয়েছিল তৎকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। চালু করেছিল ‘রিমেন ইন মেক্সিকো’ নীতি। তবে মসনদে আসার পরে এই বিতর্কিত নীতি সরানোর জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু বারবারই রিপাবলিকান বিচারপতিদের দ্বারা চালিত আমেরিকার বিভিন্ন আদালতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে সাম্প্রতিক রায়টি দিলেন টেক্সাসের বিচারপতি ম্যাথু ক্যাক্সমারিক। জানালেন, এখনই এই নীতিটি বাতিল করা যাবে না।

‘রিমেন ইন মেক্সিকো’ নামে প্রচলিত হলেও সরকারি নথিপত্রে ‘মাইগ্রেন্ট প্রোটেকশন প্রোটোকল’ নামেই পরিচিত নীতিটি। যা অনুযায়ী, যে সকল শরণার্থীরা মেক্সিকোর নাগরিক নয় কিন্তু মেক্সিকোর দিক থেকেই আমেরিকায় পা রেখেছেন এমন শরণার্থীদের অভিবাসন প্রক্রিয়া চলাকালীন মেক্সিকোয় ফেরত পাঠিয়ে দিত প্রশাসন।

২০১৯ সালে প্রথম এই নীতি কার্যকর করা হয়। তার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শরণার্থী অধিকার নিয়ে লড়াই করে চলা আন্দোলনকারীরা। যদিও তাতে খুব একটা আমল দেয়নি তৎকালীন প্রশাসন। তবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান বাইডেন। কিন্তু রিপাবলিকান মতাদর্শের বিচারকদের আধিপত্য থাকায় বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে তাঁর এই নীতিটি লোপ করার প্রচেষ্টা। সেই তালিকায় শেষ সংযোজন বিচারক ক্যাক্সমারিকের এই রায়। যার জেরে বড় ধাক্কা খেল বাইডেনের প্রস্তাবিত শরণার্থী নীতির বাস্তবায়ন। ফলে এ বছর ডিসেম্বরের শেষ থেকে মেক্সিকো সীমান্ত সংক্রান্ত যে নতুন শরণার্থী নীতি চালু করার চেষ্টা করছিলেন বাইডেন, আপাতত তা স্থগিতই রইল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Joe Biden Donald Trump Mexico New Policy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE