E-Paper

মধ্যরাতে আস্ফালন ইউনূস অনুগামীদের, আসরে ফের শাহবাগ

পুলিশ জানিয়েছে, এঁরা বাম জোটের নেতা-কর্মী। মধ্যরাতে এই প্রতিবাদীদের ‘ষড়যন্ত্রী’ আখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল ও অবস্থান করল তথাকথিত ‘ছাত্র-জনতা’।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ০৮:৪৪
সারা রাত চলল ইউনূসের অনুগামীদের আস্ফালন।

সারা রাত চলল ইউনূসের অনুগামীদের আস্ফালন। ছবি: সংগৃহীত।

দেশজুড়ে ধর্ষণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের হাতে বেদম মার খেয়েছিলেন প্রতিবাদীরা, যাঁদের অধিকাংশই নারী। এই প্রতিবাদীদের একটা বড় অংশ আবার জুলাইয়ে শেখ হাসিনা সরকার উচ্ছেদের আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, এঁরা বাম জোটের নেতা-কর্মী। মধ্যরাতে এই প্রতিবাদীদের ‘ষড়যন্ত্রী’ আখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল ও অবস্থান করল তথাকথিত ‘ছাত্র-জনতা’। সারা রাত চলল ইউনূসের এই অনুগামীদের আস্ফালন। উঠে এল ২০১৩-র শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধিতা। এই আন্দোলনকারীদের ‘শাহবাগী’ তকমা দিয়ে মুণ্ডপাত করা হল যথেচ্ছ। ছাত্রদের নতুন দল এনসিপি-র নেতা হাসনাত আবদুল্লা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘২০২৫-এ এসে ২০১৩ ফেরানোর চেষ্টা করবেন না’। অর্থাৎ তারাই এই ভিড়তন্ত্রের আহ্বায়ক। সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখা ইসলামী ছাত্র শিবির এবং মৌলবাদী ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সদস্যদের দেখা গিয়েছে অন্ধকারের ওই সমাবেশের ভিডিয়ো চিত্রে।

সকালেই আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামীর জমায়েত ভাঙার মামলায় শেখ হাসিনা ও অন্য ২২ জনের সঙ্গে আসামি করা হল শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের তৎকালীন আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকারকে। হেফাজতের অভিযোগ, পুলিশ সে দিন তাদের বহু কর্মীকে খুন করে দেহ লোপাট করে দেয়। তবে তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। এর পরে বিকেলে ইউনূস সরকার ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ সংগঠনের প্রায় ৯০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশকে আক্রমণের অভিযোগে মামলা করেছে। এঁদের ১২ জনই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির শাখা ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মী।

কিন্তু মঙ্গলবারে আন্দোলনকারীদের উপরে পুলিশের আক্রমণ ও তার পরে ইউনূসের অনুগামীদের মধ্যরাতের সমাবেশ ফের শাহবাগকে সামনে এনে দিল। সেই গণজাগরণ জামায়াতে ইসলামীর তাণ্ডবকে রুখে দিয়ে ওই দলের গণহত্যাকারী নেতাদের শাস্তি নিশ্চিত করেছিল। ইমরান এইচ সরকার তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘শাহবাগ টানা ১৭ দিন লাখো মানুষের অবস্থান ধরে রেখেছিল। এখন তো সরকার, পুলিশ, মব সবই আপনাদের। পারবেন সাত দিন কোন ইস্যুতে এই অবস্থান ধরে রাখতে? তবে আপনারা শাহবাগকে যতটা ভয় পাচ্ছেন, ততটা ভয় পাওয়া ঠিক হচ্ছে না। আপনাদের উচিত আরও বেশি ভয় পাওয়া। শাহবাগ আপনাদের ভাবনার চেয়ে বেশি শক্তিশালী।... আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে। সে পর্যন্ত ভাল থাকুন।’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dhaka university Muhammad Yunus

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy