Advertisement
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
adult star

Bangladeshi Teacher turned Adult star: শিক্ষকতা ছেড়ে প্রাপ্তবয়স্ক মডেল, পেশা বদলে আফসোস বাংলাদেশি তরুণীর

পেশায় শিক্ষিকা হলেও মডেলিং-এ বরাবরই আগ্রহী ছিলেন শাহিরা বারি। তাঁর সামাজিক জীবনে চর্চা করার মতো বহু বিষয় আছে।

মডেলিং-এ বরাবরই আগ্রহী ছিলেন শাহিরা বারি।

মডেলিং-এ বরাবরই আগ্রহী ছিলেন শাহিরা বারি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২১ ১৭:২০
Share: Save:

অতিমারির সময়ে এক বাংলাদেশি শিক্ষিকা একটি প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবসাইটের মডেল হয়েছিলেন। এক বছর পর তিনি নিজের ‘ভুল’ সিদ্ধান্তের জন্য আফসোস করছেন। শিক্ষিকা জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্ককদের ওয়েবসাইটে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। তিনি এ কথাও বলেছেন যে, তাঁর মতো মেয়ের জন্য ওই ওয়েবসাইট নয়।

পেশায় শিক্ষিকা হলেও মডেলিং-এ বরাবরই আগ্রহী ছিলেন শাহিরা বারি। আমেরিকা নিবাসী এই তরুণীর সামাজিক জীবনে চর্চা করার মতো বহু বিষয় আছে। একবার প্রাপ্তবয়স্কদের পত্রিকা ‘প্লে বয়’-এর বার্ষিক পার্টিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। স্বয়ং প্রকাশক হিউ হেফনারের সঙ্গে এক ফ্রেমে ধরা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত এই মডেল। আবার হলিউডের খ্যাতনামী মডেল অভিনেত্রী কিম কার্দাশিয়ানের ‘বডি ডাবল’ হিসেবেও কাজ করছেন শাহিরা। হলিউড ছোঁয়ার স্বপ্ন যে তিনি বহু দিন ধরে লালন করে আসছেন, সে কথা স্বীকার করেছেন। শাহিরা জানিয়েছেন, তিনি ভেবেছিলেন প্রাপ্তবয়স্কদের ওই ওয়েবসাইট তাঁকে আংশিক স্বপ্নপূরণ সুযোগ দিয়েছে কিন্তু সেই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ছিল।

‘প্লে বয়’-এর বার্ষিক পার্টিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

‘প্লে বয়’-এর বার্ষিক পার্টিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটটির নাম ‘ওনলি ফ্যানস’। চাঁদার বিনিময়ে ওই ওয়েবসাইটের সদস্য হওয়ার পর সেখানে নিজেদের ইচ্ছেমতো বিষয়বস্তু আপলোড করতে পারেন সদস্যরা। হলিউডের বহু তারকা ওই ওয়েবসাইটের সদস্য। যদিও বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মডেল জানিয়েছেন, তারকাদের সঙ্গ পাওয়ার লোভনীয় সুযোগ থাকলেও এই ওয়েবসাইটে থাকার অনেক ঝুঁকি আছে। আর সেই ঝুঁকির সামনে তিনি নিতান্তই চুনোপুঁটি।

 অভিনেত্রী কিম কার্দাশিয়ানের ‘বডি ডাবল’ হিসেবেও কাজ করছেন শাহিরা।

অভিনেত্রী কিম কার্দাশিয়ানের ‘বডি ডাবল’ হিসেবেও কাজ করছেন শাহিরা।

শাহিরা জানিয়েছেন, ওই ওয়েবসাইটের সদস্য হওয়ার জন্য তার হাত থেকে মডেলিং-এর অনেক কাজ হাতছাড়া হয়েছে। এমনকি তাঁর আর্থিক এবং সামাজিক ক্ষতিও হয়েছে। টিকটকে ভিডিয়ো দিয়ে অর্থাগম হত শাহিরার। সেখানে দু’লক্ষের বেশি অনুগামী ছিল তাঁর। কিন্তু ওয়েবসাইটটির সদস্য হওয়ার পর তাঁর টিকটক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্ন্যাপচ্যাটের অ্যাকাউন্টটিও। উপার্জন কমে যাওয়ার জন্য এখন তাই প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটটিকেই দুষছেন শাহিরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE