প্রতীকী ছবি।
দু’বছর ধরে কোমায় আচ্ছন্ন ছিলেন এক মহিলা। বেঁচে ফেরার আশা ছিল না। কিন্তু অভাবনীয় ঘটনা ঘটল। হঠাৎই চোখ মেলে তাকালেন তিনি। আর চোখ খুলতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন। বললেন, দু’বছর আগে মহিলার উপর হামলা চালিয়েছিলেন তাঁরই দাদা। পশ্চিম ভার্জিনিয়ার এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মহিলার দাদাকে।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের জুন মাসে বাড়িতে ওয়ান্ডা পামার নামে ৫১ বছর বয়সি এক মহিলাকে হত্যার চেষ্টা করেন তাঁরই দাদা। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের সোফা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রথমে পুলিশ ভেবেছিল, হামলায় মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। কিন্তু পরক্ষণেই ভুল ভাঙে। তদন্তকারীরা দেখেন শ্বাস নিচ্ছেন মহিলা। এর পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জ্যাকসন কান্ট্রি শেরিফের (তদন্তকারী সংস্থা) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওয়ান্ডাকে যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে ঘটনাস্থল থেকে ধারালা অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী জানা গিয়েছিল, অভিযুক্ত ড্যানিয়েলকে মহিলার বাড়ির দালানে রাতে দেখা গিয়েছিল। তার পরের দিনই ওয়ান্ডাকে উদ্ধার করা হয় বাড়ি থেকে। তবে ঘটনার কোনও সিসি টিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু কারও বিরুদ্ধেই যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় পদক্ষেপ করতে পারেনি পুলিশ।তাই ঠিক কী কারণে মহিলার এ হেন পরিণতি হল বা কে হামলা চালাল, সে রহস্যের কিনারা করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
কয়েক সপ্তাহ আগে তদন্তকারী সংস্থার অফিসে ফোন করে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় যে, জ্ঞান ফিরেছে ওয়ান্ডার। তিনি কথা বলতে পারবেন। এর পরই ওয়ান্ডার সঙ্গে দেখা করেন তদন্তকারীরা। বেশি কথা বলতে না পারলেও হ্যাঁ ও না’তে উত্তর দিয়েছেন তিনি। এতেই ড্যানিয়েলের ভূমিকার কথা জানতে পারা যায়। খুনের চেষ্টার মামলায় ড্যানিয়েলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy