হোয়াইটচ্যাপেল টিউব স্টেশনের সামনে জন বিগস। নিজস্ব চিত্র
লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল টিউব স্টেশনের নাম বাংলায় লেখা হয়েছে জেনে উচ্ছ্বসিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনি টুইট করেন, ‘‘লন্ডনের টিউব রেল স্টেশনের নাম বাংলায় লেখার সিদ্ধান্ত বিশ্বের দরবারে সহস্রাব্দ প্রাচীন
ভাষাটির গুরুত্ব বৃদ্ধির কথাই তুলে ধরেছে। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এই গৌরবে আমি খুবই আনন্দিত।’’ সূত্রের খবর, অদূর ভবিষ্যতে পূর্ব লন্ডনের এই এলাকার টাউন হলেও বিজ্ঞপ্তি ও সাইনবোর্ড লেখা হবে বাংলা হরফে। তা ছাড়া, এলাকার চারটি কাউন্সিল ভবন চার জন বাঙালির নামে রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে। এর আগে সাউথঅল রেলস্টেশনের নাম গুরমুখী হরফে লেখা হয়েছিল। কিন্তু লন্ডনের গণপরিবহণে বাংলা ভাষার ব্যবহার এই প্রথম।
যাঁর উদ্যোগে ব্রিটেনের রাজধানীতে বাংলা ভাষার দৃশ্যমানতা এ ভাবে বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তিনি লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেট বরোর মেয়র জন বিগস। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নাম বাংলা হরফে লেখার জন্য আবেদন জানিয়ে লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে চিঠি লেখেন তিনি। পূর্ব লন্ডনের এই এলাকার জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশই বাংলাভাষী। জনপ্রিয় ব্রিক লেন-সহ এই এলাকার রাস্তায় ও দোকানে বাংলা সাইনবোর্ড চোখে পড়ে। এমনকি, বেশ কিছু হাসপাতাল ও লাইব্রেরিতেও বাংলায় বিজ্ঞপ্তি থাকে। কিন্তু মেট্রো স্টেশনে বাংলা ভাষার ব্যবহার এই প্রথম। শুধু নামই নয়, স্টেশনের প্রবেশ পথে বাংলায় লেখা হয়েছে— হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে আপনাকে স্বাগত।
এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জ়ুনায়েদ আহমেদ পলকও। সমাজমাধ্যমে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের একাধিক ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাভাষী ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে এ এক অন্য ধরনের পাওয়া, এক অন্য ধরনের কৃতিত্ব।’’
এলাকার মানুষের আবেগকে মান্যতা দিয়ে এত তাড়াতাড়ি হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা হরফেও লেখার জন্য পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মেয়র সাদিককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিগস। টিউব স্টেশনের এই দ্বিভাষিক সাইনবোর্ডের জন্য লন্ডনের পরিবহণ দফতর ‘ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন’ (টিএফএল)-কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। নতুন নামফলকের উদ্বোধন হওয়ার পরে টিউব স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেছেন বিগস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy