Advertisement
E-Paper

‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদে ফের উত্তাল প্যারিস

‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনকারীরা তাঁদের প্রতিবাদের ১৮ তম সপ্তাহান্তে পৌঁছে আরও এক বার প্রশাসনকে জানাতে চাইলেন, পিছু হটার জায়গাই নেই। 

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৫:৫২
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

অভিজাত বিপণির মধ্যে ঢুকে ভাঙচুর আর লুটপাট। একটি নয়, একের পর এক। ফের তেতে উঠেছে প্যারিসের রাস্তা। ইতিউতি বিক্ষোভ চলছিলই। শনিবার ফের আগুন জ্বলে ওঠে। ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনকারীরা তাঁদের প্রতিবাদের ১৮ তম সপ্তাহান্তে পৌঁছে আরও এক বার প্রশাসনকে জানাতে চাইলেন, পিছু হটার জায়গাই নেই।

শঁজে-লিজে অ্যাভিনিউয়ের আশপাশে বিপণিগুলি তছনছ করে তাঁরা বার্তা দিতে চেয়েছেন দেশের উচ্চ শ্রেণিকে। স্ত্রীর সঙ্গে পিরিনিসে ছুটি কাটাতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ প্রতিবাদের কথা জানতেই ফিরে এসেছেন তড়িঘড়ি। যোগ দিয়েছেন আপৎকালীন বৈঠকে। হুড-এ ঢাকা বিক্ষোভকারীরা প্যারিসের ওই রাস্তায় পর্যটকদের আকর্ষণের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়ে জানাতে চেয়েছেন, ওই সব বিনোদন মুষ্টিমেয় মানুষের জন্যই। অন্য রেস্তরাঁ, ব্যাঙ্কেও আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। জামাকাপড়, ব্যাগ আর সুগন্ধীর নামীদামি বিভিন্ন বিপণির বাইরে কাচ ভেঙে দিয়েছেন তাঁরা। চলেছে লুটপাটও। রাস্তা জুড়ে ভিড়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে নামে পাঁচ হাজার পুলিশ। পুলিশের দিকে ধেয়ে এসেছে বিক্ষোভকারীদের পাথর। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপ শনিবার টুইট করে লিখেছেন, ‘‘ফ্রান্সের বাকি জনতার মতো আমিও অত্যন্ত ক্রুদ্ধ। আজ যা হয়েছে, সেটা আর যা-ই হোক, প্রতিবাদ নয়। এটা অপরাধীদের কাজ। এই হিংসার কোনও যুক্তি নেই।’’

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত বছরের নভেম্বর থেকে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনের শুরু। হলুদ জ্যাকেটে পথে নেমেছিলেন আন্দোলনকারীরা। ক্রমে ক্রমে প্রেসিডেন্ট মাকরঁর বিভিন্ন নীতির (কর সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতি তো রয়েছেই) বিরুদ্ধে আপত্তি যোগ হয়ে আরও তীব্র হয়েছে এই আন্দোলন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কেবল ধনীদেরই সব রকম সুবিধে দিচ্ছে মাকরঁর সরকার। যদিও সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে ধার কিছুটা কমেছে আন্দোলনের। শনিবার প্রতিবাদ হঠাৎই তীব্র আকার নেয়। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দশ হাজার মানুষ পথে নেমেছিলেন। ২৪০ জন গ্রেফতার হন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এই প্রতিবাদ হওয়ার আগে প্রেসিডেন্টের ডাকা জন-বিতর্ক চলেছে গত দু’মাস। টাউন-হল বিতর্কের আদলে এই সভায় মাকরঁর লক্ষ্য ছিল, আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের জায়গা নিয়ে আলোচনা করা। সরকারি নীতি পাল্টানোর লক্ষ্যে ভোটারদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া। প্রশাসন সূত্রে দাবি, এতে হাজির হন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনকারীরা বলছেন, আলোচনা দিয়ে সরকার আসল বিষয় ঢেকে রাখতে চাইছে সরকার।

Paris Yellow Vest Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy