আকাশপথে হামলার পর পড়ে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের একাংশ। ছবি: রয়টার্স।
ইরানের পর এ বার ইরাক। ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে এ বার সে দেশের একটি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার রাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কলসো সেনাঘাঁটিতে হামলা চলে। আকাশপথে এই বোমা হামলায় ইরানের ‘পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স’ (পিএমএফ)-এর এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ছ’জন জখম হয়েছেন। প্রতিবেদনটিতে সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ইরাকের ‘পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স’ ইরানের মদতপুষ্ট সেনা সংগঠন হিসাবেই পরিচিত। তবে বহু রাজনৈতিক এবং সামরিক ঘটনাপ্রবাহের পর এটিই এখন সরকারি ভাবে ইরাক সেনা হিসাবে পরিচিত। পিএমএফ-এর তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের কারণে তাদের পরিকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে এবং নিরাপত্তারক্ষীদের হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের ভর্তি করানো হয়েছে নিকটবর্তী হিলা শহরের একটি হাসপাতালে।
তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই হামলার জন্য এখনও ইজ়রায়েলকে দায়ী করেনি পিএমএফ। দায় স্বীকার করেনি তেল আভিভও। আমেরিকার এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, তারা এই হামলার জন্য দায়ী নন। পিএমএফ জানিয়েছে, আকাশপথে কারা সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল, তা তারা খতিয়ে দেখছে।
শুক্রবার ভোরেই ইরানকে ‘জবাব’ দিতে সে দেশে পাল্টা হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। ইরানের ইসফাহান এলাকায় ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু’তে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে ইজ়রায়েলে প্রায় ২০০টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান সেনা। যদিও আমেরিকা এবং জর্ডনের মতো দেশের সহায়তায় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্য প্রায় ৯৯ শতাংশ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করে ইজ়রায়েল। ফলে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি ঘটেনি। তার আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র-সহ বিমানহানা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। তাতে নিহত হয়েছিলেন ইরানের কয়েক জন কূটনীতিক এবং সামরিক প্রতিনিধি। তারই ‘জবাব’ দিতে ১৩ এপ্রিল রাতে হামলা চালানো হয় বলে তেহরান দাবি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy