রাজনীতিবিদ আউং সান সু চি। —ফাইল চিত্র।
মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-কে পাঁচটি মামলায় রেহাই দিল জুন্টা সরকার। তবে বন্দিদশা কাটছে না নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নেত্রীর। গত সপ্তাহেই নেপিদ-র জেল থেকে সরিয়ে কোনও অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁকে। সেখানেই আপাতত সু চি থাকবেন বলে জুন্টা সূত্রে জানানো হয়েছে।
২০২০-তে নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল সু চি-র দল। কিন্তু তার কিছু দিন পরেই সেনা অভ্যুত্থান হয় মায়ানমারে। সে বছর ১ ফেব্রুয়ারি সু চি-সহ বহু গণতন্ত্রকামী নেতা-নেত্রীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ অসংখ্য অভিযোগ আনা হয়। তার পরেই জুন্টা আদালতে ২২টি মামলায় সু চি-কে দোষী সাব্যস্ত করে ৩৩ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জুন্টা সরকারের মুখপাত্র আজ জানিয়েছেন, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল সু চি-কে পাঁচটি মামলায় রেহাই দিয়েছে। তার পরেও এখনও ১৭টি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। পাঁচটি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে তাঁর সাজার মেয়াদ ছ’বছর কমে গেল। এখন তাঁর মোট কারাদণ্ডের মেয়াদ কমে হল ২৭ বছর। আপাতত ৭৮ বছর বয়সি নেত্রীকে জেল থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুন্টা মুখপাত্র।
৩ অগস্ট নেপিদ-তে এক বিশাল বুদ্ধমূর্তির উন্মোচন করবেন জুন্টা চেয়ারম্যান মিন আউং লায়িং। সেই উপলক্ষে সাত হাজার বন্দির সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সু চি-ও।
গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় ২৩ হাজার জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, সেনার হাতে নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭০০-রও বেশি মানুষ। তবে এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ জুন্টা। আমেরিকা-সহ বিভিন্ন পশ্চিমি দেশ মায়ানমারের বিরুদ্ধে অসংখ্য আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। কিন্তু তবু দমন-পীড়নের নীতি থেকে সরছে না তারা। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করার পরে জুন্টা আশ্বাস দিয়েছিল, এ বছর অগস্টে সাধারণ নির্বাচন হবে। কিন্তু গত কাল এক বিবৃতি জারি করে তারা জানিয়েছে, আপাতত কোনও নির্বাচন হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy