চিনের আগ্রাসন নীতি নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা। ফাইল ছবি।
গত দু’বছরের বেশি সময় ধরে গালওয়ান উপত্যকায় জারি রয়েছে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকার এক রিপোর্টে বিশেষ ভাবে সাবধান করা হল ভারতকে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের উপর তাৎপর্যপূর্ণ চাপ তৈরি করছে চিন। রয়েছে কূটনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। শুক্রবার বাইডেন প্রশাসনের তরফে প্রকাশিত ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্ট্র্যাটেজি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক সংক্রান্ত বাইডেন সরকারের প্রথম এই রিপোর্টে ভারতকে বন্ধু হিসাবে বর্ণনা করে চিন নিয়ে সাবধান করেছে আমেরিকা।
হোয়াইট হাউসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আমরা (আমেরিকা) মনে করি, ভারত সমমনস্ক বন্ধু এবং দক্ষিণ এশিয়া-সহ ভারত মহাসাগর জুড়ে নেতৃত্বে রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসাবে নিজেদের তুলে ধরেছে ভারত। তবুও নয়াদিল্লির সামনে রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ।’ আর ভারতের সামনে এই বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ হল চিন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতের উপর অভূতপূর্ব চাপ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। যা নয়াদিল্লির পক্ষে রীতিমতো ভাবনার। এও বলা হয়েছে, ভারত-আমেরিকার বরাবর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আগামিদিনে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস।
চিন সম্পর্কে এই স্ট্র্যাটেজিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন তার অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তিকে একত্রিত করছে। কারণ, গোটা ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করতে চায় তারা। এ দিয়েই বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি হয়ে উঠতে চায় তারা। চিন তার অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তিকে একত্রিত করছে। কারণ গোটা ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করতে চায় তারা। এই ভাবে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি হয়ে উঠতে চায় চিন।
এখানেই শেষ নয়, রিপোর্টে যোগ করা হয়েছে, চিনের জবরদস্তি এবং আগ্রাসনমূলক নীতি বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত। তবে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই প্রভাব সবচেয়ে তীব্র। আর এ কারণেই ভারতকে তারা সাবধান করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy