যাওয়ার কথা ছিল একটার। ‘ভুল’ করে পাঠিয়ে দেওয়া হল অন্য আর একটা বিমানকে। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের এমনই এক নজিরবিহীন তথ্য সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে সব মহলে।
গত ৩১ অগস্টের ঘটনা।
লস অ্যাঞ্জেলস থেকে হাওয়াই যাওয়ার কথা ছিল এ৩২১এইচ বিমানের। অথচ সেই জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় এ৩২১এস বিমানটিকে। ট্রান্সপোর্টেশন ব্লগার ব্রায়ান সুমার্স-এর দাবি, এ৩২১এস বিমানটির নাকি অত দূরে যাওয়ার কোনও অনুমতিই নেই! এ জন্য ‘ইটপস’ সার্টিফিকেশন-এর দরকার। যা ওই বিমানের ক্ষেত্রে ছিল না বলে দাবি ওই ব্লগারের।
বিমানটি নিরাপদেই হনুলুলুতে অবতরণ করেছিল ঠিকই, কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে। যেখানে গোটা বিশ্বেই বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, তখন এ ধরনের ঝুঁকি কী ভাবে নিলেন কর্তৃপক্ষ? এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র ক্যাসি নর্টন জানান, এমন ঘটনা কী ভাবে ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে তিনি ‘ভুল’-এর তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন।
এমন ঘটনার পর বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে। প্রথমত, যে বিমানের অত দূর যাওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং পরিকাঠামো ছিল না, সেটিকে পরীক্ষা না করেই কেন পাঠানো হল? দ্বিতীয়ত, বিমানটি যাচ্ছিল সমুদ্রের উপর দিয়ে। সেটিকে যদি আপত্কালীন অবতরণ করতে হত, তা হলে আরও এক ঘণ্টা উড়তে হত। এ সব ক্ষেত্রে বিমানগুলির পরিকাঠামো বেশ মজবুত হতে হয়। কিন্তু, এই বিমানটির সে রকম কোনও পরিকাঠামো ছিল না বলেই দাবি ব্রায়ানের। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা একটা ছিলই।
কিন্তু, ক্যাসি নর্টন সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এ৩২১এস বিমানের ইঞ্জিন, জ্বালানি এবং ওড়ার ক্ষমতা এ৩২১এইচ বিমানের মতোই। তবে তাঁরা এ বিষয়ে ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-কে জানিয়েছেন। তারাও বিষয়টি দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy