E-Paper

মাস্কের রাগ উপেক্ষা করে ট্রাম্পের পছন্দে নাসা প্রধান ডাফি

নাসার শীর্ষপদটি ফাঁকা ছিল। প্রাথমিক ভাবে যিনি মনোনীত হয়েছিলেন, তাঁর নাম খারিজ করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ডাফিকেও অস্থায়ী ভাবে শীর্ষপদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। যদিও তাঁর ওই স্থানে বসা রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ০৮:০১
শন ডাফি।

শন ডাফি। ছবি: সংগৃহীত।

পরিবহণ সচিব শন ডাফিকে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাঁর নাম ঘোষণার দিনেই নাসায় ২১০০ কর্মী ছাঁটাই হল।

এত দিন নাসার শীর্ষপদটি ফাঁকা ছিল। প্রাথমিক ভাবে যিনি মনোনীত হয়েছিলেন, তাঁর নাম খারিজ করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ডাফিকেও অস্থায়ী ভাবে শীর্ষপদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। যদিও তাঁর ওই স্থানে বসা রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ট্রাম্পের একদা ঘনিষ্ঠ মিত্র ধনকুবের ইলন মাস্ক চেয়েছিলেন জ্যারেড আইজ়্যাকম্যানকে নাসা-র শীর্ষপদে বসানো হোক। কিন্তু তার পর ট্রাম্প-মাস্ক বন্ধুত্ব ভেঙে শত্রুতাও অনেক দূর গড়িয়েছে। আইজ়্যাকম্যানও নাসার প্রধান হওয়ার সুযোগ খুইয়েছেন।

ট্রাম্প আজ তাঁর নিজস্ব সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, ‘পরিবহণ দফতরের কাজ দারুণ সামলাচ্ছেন শন। ও মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকেও অসাধারণ নেতৃত্ব দেবে। সেটা অল্প সময়ের জন্য হলেও।’

গত বছর ডিসেম্বর মাসে ট্রাম্প নিজেই মাস্কের পছন্দ আইজ়্যাকম্যানকে নাসার প্রশাসক ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ধনকুবের মহাকাশচারী (প্রাইভেট অ্যাস্ট্রোনট) আইজ়্যাকম্যানকে আচমকাই ছেঁটে ফেলেন ট্রাম্প। গত মে মাসে জানান, তিনি আইজ়্যাকম্যানের নাম প্রত্যাহার করছেন। এতে বেজায় চটে যান মাস্ক। কেন আইজ়্যাকম্যানকে সরানো হল, হোয়াইট হাউস তার ব্যাখ্যা না-দিলেও ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, মাস্কের নিজের মহাকাশ সংস্থার ব্যবসার গতিবিধি ও উদ্দেশ্য দেখে তাঁর মনে হয়েছিল, তাঁর বাছাই করা আইজ়্যাকম্যানকে ওই পদে বসানো ‘যথাযথ’ হবে না। ডাফির নাম ঘোষণার পরে আইজ়্যাকম্যান অবশ্য সংযত আচরণ করেছেন। বলেছেন, ‘‘খুব ভাল পদক্ষেপ। ডাফিকে শুভেচ্ছা জানাই।’’ নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘নাসার এমন এক জনের নেতৃত্ব চাই, যিনি প্রেসিডেন্টের বিশ্বাসী ও ভরসাযোগ্য।’

ডাফির জন্য নাসা-র দায়িত্ব খুব সহজ হবে না। আজ যখন তাঁর নাম ঘোষণা করছেন ট্রাম্প, সেই একই সময়ে নাসা ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন ২১০০ শীর্ষস্থানীয় কর্মী। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ সময়ের আগেই অবসর নিচ্ছেন। অনেককে আবার ‘স্বেচ্ছায়’ অবসর নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেকে চাপের মুখে ইস্তফা দিয়েছেন। ট্রাম্পের জমানায় নাসা ও তার সঙ্গে যুক্ত মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলিতে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। নাসার গবেষণার জন্য বরাদ্দ অর্থেও বিপুল পরিমাণে কাটছাঁট করা হয়েছে। যার জেরে বহু বিজ্ঞান-প্রকল্প বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

NASA Donald Trump Elon Musk

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy