প্রতীকী ছবি।
বোনের ছেলেমেয়েক খুন করে তাদের দেহ নিয়ে মাসের পর মাস ট্যাক্সি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এক মহিলা। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাটি আমেরিকার বাল্টিমোরের।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম নিকোল জনসন। বোনের ছেলেমেয়েকে খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে নিকোলের ট্রাফিক আইন ভাঙার বিষয়টি কেন্দ্র করে। গত বুধবার ট্রাফিক আইন ভেঙে জোরে গাড়ি চালানোর জন্য পুলিশ তাঁকে ধরে। নিকোলের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি সঠিক কাগজ দেখাতে পারেননি বলে দাবি ট্র্যাফিক পুলিশের।
দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক নিকোলকে জানান, গাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। এ কথা শোনার পর কোনও আপত্তি জানাননি নিকোল। বরং তিনি জানান, গাড়িটা তাঁরা নিয়ে যেতে পারেন। কেননা তিনি পাঁচ দিন বাড়িতে থাকবেন না। এর পরই নিকোল বলেন, “সংবাদের শিরোনামে খুব শীঘ্রই আসতে চলেছি।”
পুলিশ জানিয়েছে, নিকোলের গাড়ির ডিকি খুলতেই দুর্গন্ধ ভেসে আসে। দেখা যায় ডিকিতে একটি বাক্স রয়েছে। সেই বাক্সের মধ্যে হাড়, মাংস গলা একটি শিশুর দেহ। তার পাশেই আরও একটি শিশুর পচাগলা দেহ। এর পরই গ্রেফতার করা হয় নিকোলকে।
জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিকোলকে ভরসা করে ২০১৯ সালে ছেলেমেয়েকে তাঁর কাছে রেখে গিয়েছিল বোন। ২০২০-র মে মাসে ছেলেটিকে খুন করেন। তার পর তাঁর দেহ স্যুটকেসে ভরে গাড়ির ডিকিতে ঢুকিয়ে দেন। ছেলেটিকে খুন করার কয়েক দিন পর মেয়েটিকে খুন করেন তিনি। তার পর এক বছর ধরে ওই গাড়িতেই দু’টি শিশুর দেহ নিয়ে ঘোরাফেরা করেছেন নিকোল। অবশেষে ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য আসল সত্যটা সামনে এসেছে।
কী কারণে বোনের ছেলেমেয়েকে খুন করেছেন নিকোল তা খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy